বিশ্ব জ্বালানি তেলের খনি ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে। চাহিদার সঙ্গে দিন দিন বেড়ে চলেছে পেট্রল-ডিজেলের দামও। এর থেকে মুক্তির পথ নিয়ে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। বিকল্প জ্বালানি হিসবে বাজারজাত করতে যাচচ্ছে পানিচালিত মোটর সাইকেল । আর জ্বালানি ছাড়া মোটরসাইকেল তৈরি করছে জাপানের সুপরিচিত ব্র্যান্ড ইয়ামাহা। এই মোটরসাইকেলের জ্বালানি হবে পানি। ভারতের বাজারে বাণিজ্যিকভাবে ছাড়া হবে পরিবেশবান্ধব এই মোটরসাইকেল।
সম্প্রতি সেই মোটরসাইকেলের একটি মডেল নকশার ছবি প্রকাশ করেছে ইয়ামাহা। এই টু হুইলারের নাম এক্স টি ৫০০ এইচটুজিরো। ম্যাক্সিম লেফেব্রে ইয়ামাহার সঙ্গে এই নতুন মোটরসাইকেল বাজারে আনতে যাচ্ছে।
২০১৬ সাল থেকে এই প্রজেক্ট নিয়ে কাজ চলছে। এই বাইকটি দেখতে অনেকটা সত্তরের দশকের এক্স টি ৫০০–এর মতো। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ মধ্যে এই মোটরবাইকটি পরিচিত হয়েছিল লাইওয়েট বাইক হিসেবে। ৪৯৯সিসির ওই ফোর স্ট্রোক সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিনের মোটরসাইকেলটি স্পিড ছিল ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার।
মোটরসাইকেলটির নাম এক্স টি ৫০০ এইচটুজিরো। ছবি: সংগৃহীত
মোটরসাইকেলটির নাম এক্স টি ৫০০ এইচটুজিরো। ছবি: সংগৃহীত
এক্স টি ৫০০ এইচটুজিরো এডিশনের বাইকটিতে থাকবে একটি পানির পাম্প। এই পাম্প পানিকে চক্রাকারে ঘুরিয়ে ইঞ্জিনকে প্রোপালশন প্রদান করবে। পানিচালিত মোটরবাইকের মাধ্যমে পরিবেশদূষণের আশঙ্কা থাকবে না। মোটরসাইকেলের মালিকের জ্বালানি নিয়ে কোনো চিন্তা থাকবে না। বাইকটির রক্ষণাবেক্ষণের খরচও জ্বলানিচালিত বা ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলের তুলনায় খুব কমই হবে।
ব্রাজিলের এক ব্যক্তি পানিচালিত একটি মোটরসাইকেল তৈরি করেছেন। রিকার্দো আজাভেদা নামের এই ব্যক্তির তৈরি করা মোটরবাইকটির জ্বালানি পানি। সাধারণ খাওয়ার পানিতেই তিনি তাঁর বাইক চালিয়ে দেখিয়েছেন।
পানিচালিত এই মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন দুটি অংশ নিয়ে গঠিত—ওয়াটার ট্যাংক এবং একটি ব্যাটারি। ব্যাটারির ইলেকট্রিসিটি পানির হাইড্রোজেন মলিকিউলগুলোকে বিশ্লিষ্ট করে দেয়। তারপর একটি পাইপ দিয়ে সেই হাইড্রোজেন প্রবাহিত হবে ইঞ্জিনে। এই হাইড্রোজেনই শক্তি উৎপাদন করে মোটরসাইকেলকে এগিয়ে নেয়। রিকার্দো আজাভেদার তৈরি করা মোটরসাইকেল এক লিটার পানিতে ৩০ মাইলের বেশি পথ পাড়ি দেয়।
রিকার্দোর আজাভেদার তৈরি করা এই মোটরবাইকটি পরিবেশবান্ধব। কারণ এই বাইক থেকে কোনো রকম ধোঁয়া বের হবে না। ফলে পরিবেশবান্ধব ও সুরক্ষিত। ( ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস ও ডেইলি মেইল)