বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘কাগজের সংকট ভয়াবহ আকার নিয়েছে। আগামী বছরের জন্য বিনামূল্যের বই ছাপাতে ৫০ ভাগ কাগজ শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করতে না পারলে ১ জানুয়ারি বই উৎসবে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া সম্ভব নয়।’
নতুন বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই পৌঁছে দিতে চান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। সে জন্য ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকাশকদের কাছ থেকে পাঠ্যবই সরবরাহ চেয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে সময়মতো বই হাতে না পেলে কঠোর ব্যবস্থার হুশিয়ারি দিয়েছেন মন্ত্রী।
রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে শনিবার বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির ৪১তম সাধারণ সভায় শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। একই সময়ে কাগজ আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্ব সংকটের মুখে। তাড়াতাড়ি সুসংবাদও পাব না। এখন আমাদের টিকে থাকার সময়। কয়েক দিন আগে কাগজ বিক্রেতাদের সঙ্গে সভা হয়েছে। আমার দিক থেকে যে বার্তা দেয়ার তা দিয়েছি। তারা আমাকে কথা দিয়েছেন, তাদের প্রতিশ্রুতি তারা রাখবেন। তারপরও কেউ কথার খেলাপ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে ১ তারিখে (জানুয়ারি) বই তুলে দিতে বদ্ধপরিকর।’
সন্তানদের শিক্ষার সঙ্গে কোনো আপস নেই জানিয়ে দীপু মনি বলেন, ‘বই আমার লাগবেই এবং ১ তারিখেই লাগবে। আশা করি যারা যারা কথা দিয়েছেন তারা সে কথার মধ্যেই থাকবেন, ভিন্নদিকে যাবেন না।’
মিল মালিকরা স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাগজ না দিলে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘কাগজের সংকট ভয়াবহ আকার নিয়েছে। আগামী বছরের জন্য বিনামূল্যের বই ছাপাতে ৫০ ভাগ কাগজ শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করতে না পারলে ১ জানুয়ারি বই উৎসবে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া সম্ভব নয়।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদেরকে অখুশি করার মতো কথা বলতে চাই না। তবে আমি সব সময় সত্যটা বলার চেষ্টা করি। তাতে অখুশি হলেও আমার কিছু করার নেই।’
‘কাগজের মূল্য বৃদ্ধি রোধের কথা বলেছেন আপনারা। কিন্তু আমার মন্ত্রণালয় এর সঙ্গে সরাসরি জড়িত নয়। তবে সমস্যা হলে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হব আমরা। কারণ সবচেয়ে বড় গ্রাহক আমার মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে আমি বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মো. আরিফ হোসেন ছোটন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কায়সার-ই-আলম, শ্যামল পাল, মির্জা আলী আশরাফ কাশেম, ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান, মাজহারুল ইসলাম ও সাবেক সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন।
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur