পাটের দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কচুয়া উপজেলার চাষীরা। চলতি মৌসুমে কচুয়া উপজেলার কৃষকরা পাট চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আবহাওয়া পাট চাষের অনুকূলে থাকায় ও মাটি চাষের উপযোগী হওয়ায় পাটের এমন ফলন হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
জানা যায়, কচুয়ার কৃষকরা পাটের চাষ করে ভালো ফলনের পাশাপাশি দাম ভালো পাওয়ায় বেশ লাভবান হয়েছেন। তবে ন্যায্যমূল্য পেয়ে পাট চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের মাঝে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর কচুয়া উপজেলায় ৩০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এগুলোর মধ্যে ৩০৫ হেক্টরে চাষের আবাদ হয়েছে।
সেঙ্গুয়া গ্রামের পাট চাষী আবুল হোসেন,রমিজ উদ্দিন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, গত বছর জমিতে পাটের আবাদ করেছি কিন্তু ন্যায্য মূল্য পাওয়া যায়নি। পাটের সঠিক মূল্য না পাওয়ায় অনেক কৃষক পাট চাষে আগ্রহ হারিয়েছে। গত বছরে প্রত্যেক মণ পাট বিক্রি হয়েছে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে চলতি বছর আবারো পাটের আবাদ করেছি। বর্তমানে পাটের প্রতি মন ৩ হাজার ৫শ টাকা করে। এবছর পাটের দাম পেয়ে আমরা অনেকটাই খুশি।
পালাখাল গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন ও জমির হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, এবছর আমরা অনেক পাট করেছি। গত বছর দাম না পেলেও পুষিয়ে নিতে চলতি বছর দাম ভালো পাবো আশা করছি। তাছারা কৃষি বিভাগ থেকে আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হয়েছে।
কচুয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম লিটন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, উপজেলার দুই হাজার কৃষককে পাট অধিদপ্তর থেকে প্রনোদনা দেয়া হয়েছে। কৃষকদের সপ্তাব্যাপী প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে পাটের ভালো ফলন হওয়ার আশা করছেন কৃষকরা। গত বছরের চেয়ে এ বছর মণ প্রতি পাটের দাম ৩ হাজার ৫শ টাকা পাচ্ছেন কৃষকরা। দাম আরো বেড়ে ৫ হাজার টাকা হতে পারে বলেও তিনি জানান। এমন দাম পেলে আগামিতে পাট চাষে আরও আগ্রহী হবেন কৃষকরা।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ৬ জুন ২০২১