চাঁদপুর কচুয়া উপজেলায় অবসর প্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলী আশ্রাফ মজুমদারের বাড়ী ঘরে ইট পাটকেল নিক্ষেপ, বিভিন্ন জাতের ফল-ফলাদি ও সবজী জাতিয় গাছের চারা কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার ( ১০ জানুয়ারি) দিন দুপুরে পৃথক ভাবে উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের অধিবাসী মৃত আ. গণি মাষ্টারের পুত্র মো. আলী আশ্রাফ মজুমদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত গৃহকর্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি আলী আশ্রাফ মজুমদার বাদী হয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় ৫ জনকে অভিযুক্ত ৮/১০ কে অজ্ঞাত করে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে একই গ্রামের মৃত ছালামত উল্যাহর পুত্র ছফিউল্যাহ (৩৮), ছফিউল্যাহর পুত্র মাহাবুব (১৭), মৃত আক্কেল আলীর পুত্র সিরাজুল ইসলাম (৬০), সিরাজুল ইসলামের পুত্র সেলিম (৩৭) ও ছালামত উল্যাহর পুত্র মোহাম্মদ উল্যাহ (৪৩) কে এ ঘটনার সন্দেহবাজন অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ক্ষতিগ্রস্থ মো. আলী আশ্রাফ মজুমদার জানান, ২০১১ সালের শেষের দিক থেকে কতিপয় লোকজন আমার বাড়ী ঘরে বিভিন্ন সময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, সম্প্রতি আমার বাড়ি সংলগ্ন পশ্চিম পাশে লাউ খেতে চারা, শিম মুড়া, বাড়িতে রোপণকৃত লটকল, আম, পেপে, শশা, কইডা, বরই, সুপারিগাছ বিভিন্ন সময় কেটে ও উপরে ফেলে ক্ষতি সাধন করে আসছে। ঘটনার দিন মঙ্গলবার দুপুরে বিবাদীরা আমার ঘর লক্ষ্য করে হঠাৎ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
তিনি আরো জানান, অভিযুক্তের সাথে আমার পূর্ব থেকেই জমি জমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে আমার ক্ষতিসাধন করতে পারে বলে তিনি দাবী করেন।
বিভিন্ন সময় গাছ-গাছালি ও ফল-ফলাদি গাছ কেটে ফেলার ঘটনায় তার প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে এবং বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে দাবী করেন।
এদিকে অভিযোগ দায়েরের পর মঙ্গলবার রাতে কচুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছফিউল্যাহর বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইলে বার বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদক-জিসান আহমেদ নান্নু, কচুয়া
।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ০৯ : ২৪ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৭ বুধবার
এইউ