অজ্ঞাত পাগলির কোলে জন্ম নেওয়া নবজাতককে নিজের মায়ের নাম দিলেন পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশের ওসি মোস্তাফিজুর রহমান। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জন্ম পরবর্তী চিকিৎসার পর রবিবার (২৭ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে পটুয়াখালী সমাজসেবা দফতরের কাছে হস্তান্তরের সময় ওই নবজাতকের নাম নিজের মায়ের নাম অনুসারে ‘ফাতেমা রহমান’ রাখেন মোস্তাফিজুর রহমান।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি পটুয়াখালী সদরের কমলাপুর এলাকায় প্রসব বেদনায় কাতরানো এক মানসিক ভারসাম্যহীন অন্তঃসত্ত্বা নারীকে দ্রুত পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন ওসি মোস্তাফিজুর রহমান। তবে ওই দিনই এক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়ে পালিয়ে যায় ওই নারী। মা পালিয়ে গেলেও নবজাতককে দেখাশুনা করে আসছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘একাধিক স্থানে খোঁজ করেও শিশুটির মাকে পাওয়া যায়নি। ১৪ দিন চিকিৎসা ও লালন-পালন শেষে রবিবার হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে সমাজসেবা দফতরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হস্তান্তরের সময় মা হারা এই নবজাতকের পরিচয় নিয়ে জটিলতা দেখা দিলে আমি আমার মৃত মায়ের নামে শিশুটির নাম রাখি। শিশুটির জন্য পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন, সমাজসেবা এবং মহিলা বিষয় অধিদফতরসহ অনেকেই হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। শিশুটি দত্তক নিতেও ইতোমধ্যে অনেকেই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন’। নবজাতককে সমাজসেবা দফতরের কাছে হস্তান্তরের সময় আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি।
নবজাতককে দত্তক নেওয়ার বিষয়ে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, ‘আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তি শিশুটিকে দত্তক নিতে পারবেন’।
এদিকে শিশুটির বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে পটুয়াখালী সমাজসেবা দফতরের উপ-পরিচালক এসএম শাহাজাদা বলেন, ‘শিশুটিকে বরিশালের শিশু হোম কেয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী শিশুটি বরিশালের আগৈলঝড়া শিশু হোম কেয়ারে থাকবে’।
বার্তা কক্ষ
২৮ জানুয়ারি,২০১৯