পাগলা মসজিদের ৪টি সিন্দুক খোলা হয়েছে

মুসলিম ঐতিহ্য সমৃদ্ধ জনপদ কিশোরগঞ্জ। একে ঘিরে রয়েছে অনেক ইতিহাস। প্রাচীন ও আধুনিক স্থাপত্যের বিখ্যাত নানা দর্শনীয় স্থান রয়েছে এখানে। প্রায় আড়াইশ বছরের পুরনো তারই একটি ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ।

শহরের পশ্চিমে নরসুন্দা নদীর তীরে এ তিন’তলা বিশিষ্ট মসজিদটি অবস্থিত। এর পাঁচতলা সুউচ্চ মিনারটি বহুদূর থেকে সহজেই দৃষ্টি কাড়ে। পাগলা মসজিদের ইমরাত খুবই সুন্দর এবং নির্মাণশৈলীও বেশ চমৎকার।

আজ শনিবার সকাল ১০টায় কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৪টি সিন্দুক খোলা হয়েছে। তারপর সকাল থেকে শুরু হয় টাকা গণনা-গণনা শেষ হয় সন্ধায়। অন্তরন্তর তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের সিন্দুক খোলা হয়। এতে নগদ টাকাসহ স্বর্ণ অলংকার পাওয়া যায়। আজ নগদ টাকা হয় ৫৮ লাক্ষ ৯৪ হাজার ৩শ ২৫টাকা। আর স্বর্ণ অলংকার গুলি রাখা হয়েছে পাগলা মসজিদের কর্মকর্তাদের কাছে।

এ গুলি পরে জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে বিক্রি করা হবে। দূরদুরান্ত থেকে আসা সর্ব-সাধারণ মানুষের দেওয়া টাকা-পয়সা ও স্বর্ণ অলংকার আজ সিন্দুক খোলে বের করা হয়েছে। পাগলা মসজিদের সিন্দুক খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও ভারপ্রাপ্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামিল আহম্মেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী আবেদ হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম. ফেরদৌস, সহকারী কমিশনার শামীম আল ইমরান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামসুল আলম, মো. শওকত উদ্দিন ভূঞা, এড. আজিজুর রহমান রোমেন, মো. গিয়াস উদ্দিন মল্লিক, কিশোরগঞ্জ রুপালী ব্যাংক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী হারিছী, হৃদয়ে কিশোরগঞ্জ মানবাধিকার সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মো. এস. হোসেন আকাশসহ পাগলা মসজিদের সকল কর্মকর্তা বৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পাগলা মসজিদের হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে দিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রমে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত টাকা-পয়সা গণনা করা হয়। তারপর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী আবেদ হোসেন কিশোরগঞ্জ রুপালী ব্যাংক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী হারিছীর কাছে টাকাগুলি হস্থান্তর করেন। টাকাগুলি পাগলা মসজিদ থেকে পুলিশি পাহারায় কিশোরগঞ্জ রুপালী ব্যাংক কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। – See more

Share