গভীর সমুদ্রে মাছ ধরছিলেন পটুয়াখালীর কলাপাড়ার জেলে নুরুন্নবী মাঝি। এক পর্যায় তাঁর জালে ধরা পড়ে বিরল প্রজাতির আটটি গোলপাতা মাছ, যা পাখি মাছ হিসেবেও পরিচিত। ঘটনাটি গত বুধবার রাতের। মাছগুলো বিক্রির উদ্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রলারে করে মহিপুর মৎস্য বন্দরের আড়তপট্টিতে নিয়ে আসেন জেলে নুরুন্নবী।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই মাছগুলো দেখতে সেখানে ভিড় করে। নুরুন্নবী জানান, প্রায় ১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও দুই ফুট প্রস্থের তিনটিসহ মোট আটটি পাখি মাছ তাঁর জালে আটকা পড়েছে। আটটি মাছের মধ্যে তিনটির ওজন ৬০ কেজি করে, চারটির ওজন ৫৫ কেজি করে। আরেকটির ওজন ৪০ কেজি।
একই রকম ঘটনা ঘটে পরদিন। বৃহস্পতিবার রাতে কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরে কালাম উল্লাহ নামের এক জেলের জালে পাঁচটি ও সোবাহান নামের অপর এক জেলের জালে দুটি ‘সেইল ফিশ’ মাছ ধরা পড়ে। সাতটি মাছের মধ্যে তিনটির ওজন ৬০ কেজি করে, একটি ওজন ৪৫ কেজি ও অপর তিনটি ৩১ কেজি করে। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে মাছগুলো মৎস্য বন্দর মহিপুরের এমকে ফিস নামের গদিতে বিক্রি করতে নিয়ে আসা হয়।
মাছ ব্যবসায়ী মো. ফজলুল হক গাজী জানান, এই অঞ্চলে মাছগুলোর তেমন দাম পাওয়া যায় না। তবে উন্নত বিশ্বে দাম অনেক বেশি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমদাদুল্লাহ জানান, গোলপাতা বা পাখি মাছের বৈজ্ঞানিক নাম সেইল ফিশ। দ্রুতগামী এই মাছ খেতে খুব সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা আছে। এই মাছ গভীর সমুদ্রে বেশি দেখা যায়।
ঢাকা চীফ ব্যুরো, ২৭ আগস্ট, ২০২১;