বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের বক্তব্যের পর নড়েচড়ে বসেছিল বাংলাদেশের প্রতিটি ক্রিকেটপ্রেমী। সংবাদটি ছড়িয়ে পড়ে সোস্যাল মিডিয়ায়। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো উঠেছে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে পাঁচ নম্বরে। দুই ধাপ অগ্রগতি, সঙ্গে ২০১৯ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে না খেলার সার্টিফিকেট।
সব মিলিয়ে ভিন্ন আমেজে সময়টা পার হচ্ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। তবে পরিস্থিতি পাল্টে যায় কয়েক ঘন্টা পরই। পাপনের দেয়া এমন সংবাদে সংশয় ও দ্বিধা বাড়ছে। আসলেই কি বাংলাদেশ পাঁচ নম্বরে উঠতে যাচ্ছে, নাকি সাতেই থাকছে।
বাংলাদেশের একটি সংবাদ মাধ্যম এ ব্যাপারে যোগাযোগ করে আইসিসির মিডিয়া ম্যানেজার সামি উল হাসানের সঙ্গে। তবে তিনি যা জানিয়েছেন, তাতে সাতেই থাকছে বাংলাদেশ, পাঁচে নয়।
আইসিসির ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বার্ষিক হালনাগাদে বিবেচনায় নেওয়া হয় সবশেষ তিন মৌসুমের পারফরম্যান্স। আগামী হালনাগাদের সময় তাই বিবেচনায় নেওয়া হবে ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ মৌসুমের পারফরম্যান্স। এই ক্ষেত্রে প্রথম দুই মৌসুমের ফলাফলের পয়েন্টের ৫০ শতাংশ বিবেচনায় নেওয়া হবে আর ২০১৫-১৬ মৌসুমের নেওয়া হবে শতভাগ। সেই হিসাবে হালনাগাদের পর আগামী ২ মে যে র্যাংকিংয় প্রকাশ করা হবে, সেখানে বাংলাদেশ এখনকার মতোই সাত নম্বরেই থাকবে।
২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা আট দল সরাসরি সুযোগ পাবে ২০১৯ বিশ্বকাপে। স্বাগতিক ইংল্যান্ড যদি শীর্ষ আটের বাইরে থাকে, সেক্ষেত্রে সুযোগ পাবে ইংল্যান্ড ও শীর্ষ সাত দল। তখন বিবেচনায় আসবে ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ মৌসুম। বাদ পড়ে যাবে ২০১৩-১৪।
দুবাইয়ে আইসিসি সভায় বিসিবি প্রধানকে পঞ্চম স্থান বলে যেটি জানানো হয়েছে, সেটি বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান। শুধু ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ মৌসুমের হিসাব করলে বাংলাদেশ পাঁচ নম্বরে আছে, তবে এই অবস্থান বর্তমান র্যাংকিংয়ে অথবা বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সঙ্গে যুক্ত নয়।
আনুষ্ঠানিক র্যাংকিংয়ে সবসময়ই সবশেষ ৩ বছরের হিসাব বিবেচনায় নেওয়া হয়। দুবাইয়ে বোর্ড প্রধানকে জানানো হয়েছে শুধুমাত্র বাংলাদেশের অগ্রগতির বিষয়টি।
: আপডেট ১:০০ এএম, ২৬ এপ্রিল ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ