চাঁদপুর

পাঁচ দিনে আড়াই’শ শিশুরোগী ভর্তি : বেড সংকটে ভোগান্তি

আড়াই’শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগে কমছে না শিশুরোগীর চাপ। আবহাওয়া দুর্যোগের কারনে নিউমোনিয়া, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে একের পর এক হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে বিভিন্ন বয়সের শিশুরোগীরা।

খবর নিয়ে জানা যায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একের পর এক বিভিন্ন বয়সের শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের বেশির ভাগ শিশুর বয়সই দুই বছরের নিচে বলে জানা গেছে।

এসব রোগীদের চাপের কারণে এদদিকে যেমন চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ডাক্তার ও নার্সরা অন্যদিকে বেড সংকটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ভর্তিকৃত রোগী ও অভিভাবকদের।

গত ক’দিন ধরেই হাসপাতালের তৃতীয় তলায় শিশু বিভাগে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই বিভাগের নার্সদের রুমের সামনে ভিড় জমিয়ে চিকিৎসা সেবার জন্য অপেক্ষা করছে অভিবাবকরা। এবং হাসপাতালের শিশু বিভাগের সবক’টি বিছানা পূর্ন হয়ে মেঝেতে ও রোগীদের জন্য বিছানা পাতা হয়েছে। শিশু বিভাগের প্রত্যেকটি বিছানা পূর্ণ হয়ে মেঝেতে বিছানা পাতার কারনে দেখা গেছে অনেক রোগীরা ফোম, চাদর, কিংবা বালিশও পায়নি। এ কারনে ভোগান্তিতে পড়ছে অনেক রোগীর অভিবাবকরা।

হাসপাতালের রেজিস্টেশন খাতা দেখে ডিউটিরত নার্সরা জানায় গত ৪ অক্টোবর থেকে ৭ অক্টোবর ২’শ ১৪ জন শিশুরোগী ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে গত ৩ অক্টোবর হাসপাতালে সারাদিনে মোট ৬০ জন শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। ৪ অক্টোবর সারাদিনে ভর্তি হয়েছে ৫৫ জন, ৫ অক্টোবর সারাদিনে ভর্তি হয়েছে ৩৯ জন, ৬ অক্টোবর শুক্রবার ২৭ জন এবং ৭ অক্টোবর শনিবার দুপুর ২ টা পর্যন্ত ৩৪ জন শিশুরোগী ভর্তি হয়েছে বলে তারা জানান।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এসব শিশু রোগীরা নিউমোনিয়া, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি বমিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়াও অনেক শিশু রোগীকে অভিভাবকরা হাসপাতালে নিয়ে এসে ডাক্তার দেখিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে চলে যান।

খবর নিয়ে জানাযায় চাঁদপুর জেলা শহরে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ৫ দিনে প্রায় আড়াই’শ জন শিশুরোগী ভর্তি হয়েছে। শহর এবং জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এসব রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ডাক্তার ও নার্সরা।

হাসপাতালের বেডের চাইতে অনেক বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় তাদেরকে ফেøারে ও মেঝেতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শিশু বিভাগের প্রত্যেকটি বিছানা পরিপূর্ণ হয়ে রোগীরা মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। বিছানা সংকটের কারনে মেঝের একটি বিছানাতে দু’জন করে রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার (শিশু বিশেষজ্ঞ) ডাঃ বিপ্লব দাসের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে শিশুরা হঠাৎ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। দেখা দিনে গরম, আবার শেষ রাতের দিকে কুয়াসা পড়ার কারনে শিশুদের পুসপুষে ঠান্ডা লেগে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আবার অনেক শিশু নিউমেনিয়া, জ্বর, সর্দি, কাশ, বমি, পাতলা পায়খানাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।

কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ ০৫:০৩ পিএম, ০৭ অক্টোবর, ২০১৭ শনিবার
ডিএইচ

Share