সেই সাথে বই কমানোর পাশাপাশি বইয়ের গুণগতমান বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষাবিদরা। পঞ্চম শ্রেণির ৬টি বই এক লাফে ষষ্ঠ পর্যায়ে হয়ে যায় ১৪টি। আর বিষয়ের সংখ্যা হঠাৎ ১৩ হওয়ার ফলে পড়ার খড়ক নামে শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে। এ চাপ আর পরীক্ষা সামলাতে অনেক অভিভাবকরা সন্তানদের নিয়ে ছোটেন কোচিং সেন্টারে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতিটি বিষয়ে আগের থেকে দ্বিগুণ। তাই আমাদের সময়ও বেশি লাগে কারো পড়তে সমস্যা হয় আমাদের।
আর অভিভাবকরা বলেন, প্রথমেই এখন হঠাৎ করে ৬টা বই থেকে ১৪টা বই জন্য কষ্টকর হচ্ছে ছেলে-মেয়েদের।
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম বলেন, বাংলাসহ মৌলিক বিষয়ে নম্বর বাড়িয়ে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অন্যান্য বিষয়ের সাথে সন্নিবেশ করা যেতে পারে।
শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এমনিতেই তাদের ছাঁপা বাঁধাইয়ে আকর্ষণীয় নয়। তাদের ছাঁপানো বইয়ে অনেকরম ভুল ভ্রান্তিও আছে এবং বইয়ের সংখ্যা কমানোর পাশাপাশি এর গুণগতমান বাড়াতে হবে। শিক্ষার্থী বই পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন উৎফুল্ল হতে পারে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য প্রফেসর মশিউজ্জামান বলেন, ১৮৪ কার্যদিবসে সপ্তাহের ৩৪ ক্লাসে কি বিষয়ে পড়ানো হবে তা আগেই নির্ধারণ করা হয়। তবে শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে বই কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।
২০১৯ সাল নাগাদ ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যায়ে বই কমবে অন্তত ৫টি বইয়ের পাশাপাশি কিছু বিষয়ে ক্লাসরুম ভিত্তিক মূল্যায়ন করা যেতে পারে বলে মনে করেন প্রফেসর মশিউজ্জামান।
নিউজ ডেস্ক
।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ০৮ : ১৪ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০১৭ শুক্রবার
এইউ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur