হাজীগঞ্জে পশুরহাটে দেশি প্রজাতির গরুর দখলে, দাম চেয়ে মিলছেনা ক্রেতা

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পশুরহাটে দেশি প্রজাতির গরুর দখলে, বেপারীরা দাম চেয়ে মিলছেনা তেমন ক্রেতা। এ বছর বেশি মাংস পাওয়া যাবে এমন গরুর চিন্তা থেকে সরে আসা মানুষদের চাহিদা মেটাতে এখন দেশি জাতের গরুর হাট বসিয়েছেন বিক্রেতারা।

তারা বলছেন, আগে মানুষ শুধু কোন গরুতে মাংস বেশি হবে, সেসব গরু কিনতে গিয়ে দাম হাকাতো। গত কয়েক বছর দেশি গরু চাচ্ছেন ক্রেতারা।

এ বছর হাজীগঞ্জ উপজেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের সংখ্যা ২১টি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এসব হাটে দেশি জাতের গরুর সংখ্যা বেশি। কিছু বিদেশি গরুর সংখ্যা দেখা গেলেও তা মিশ্র প্রজাতির বলে জানান বিক্রেতারা।

উপজেলার পিরোজপুর, ধড্ডা, চেঙ্গাতলী, পালিশারা, বেলঁচো, আহম্মদপুর অস্থায়ী পশুরহাটে বিভিন্ন জাতের দেশি গরু দেখা মিলেছে।

আর ক্রেতা সাধারণও ঝুঁক দিচ্ছে দেশি জাতের গরুর দিকে। এবার দাম বেশি হলেও পছন্দনুযায়ী গরু ক্রয় করছেন তারা। এসব হাটগুলোতে অন্যান্য বছরের তুলনা এবার কোরবানীতে বিদেশী গরু দেখা মিলেছে অনেক কম।

এসব বাজারে চিটাগাং ও পার্বত্য এলাকার লাল গরু, নর্থবেঙ্গল গ্রে ক্যাটল, পাবনা ও কুষ্টিয়ার কিছু দেশি জাতের গরু দেখা গেছে।

পিরোজপুর বাজারে জসিম, মনির, লাভলু, ও শাহাদাতের সাথে কথা হলে তারা বলেন, বর্তমানে বাজারে দেশি জাতের গরুর চাহিদা বেশি থাকায় সবগুলো গরুই দেশি। বাজারে সবাই এসে গরু দেখছে কিন্তু বিক্রি হচ্ছে কম। তবে শেষ বাজারে চাহিদানুযায়ী বিক্রি হবে বলে তারা বিশ্বাস করছেন।

বিক্রেতা হারুন, চাঁন মিয়া ও হাবিব বলেন, এ বছর ভারতর ভোল্ডার জাতীয় গরুর সংখ্যা কম। দেশী জাতের গরু গ্রহন করছে ক্রেতারা। কিন্তু গরুর গঠন অনুযায়ী ক্রেতারা দাম বলছেনা।

কোরবানির হাটের নিরাপত্তার বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হারুনুর রশিদ বলেন, পুলিশ সার্বক্ষণিক পাহারা দিচ্ছে আর কেউ যাতে প্রতারণার শিকার না হয়। জাল টাকা শনাক্ত করার মেশিনও রয়েছে হাটগুলোতে। সে সাথে কেউ যদি আমাদের সহায়তা চায় আমরা তাদের সর্বচ্চো সহযোগিতা করবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিতের লক্ষে কাজ করছি। তবে বাজারে পর্যাপ্ত গরু ও মানুষের সংখ্যা লক্ষনিয়।

প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়, ১৭ জুলাই ২০২১

Share