পল্লী বিদ্যুতের স্থাপনায় নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ

সারাদেশে পল্লী বিদ্যুতের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে (পবিবো)। সম্প্রতি গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য বোর্ড থেকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

দেশের সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বা কেপিআই হিসেবে ধরা হয়।

সম্প্রতি জঙ্গি হামলার পর এ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, মূল্যবান যন্ত্রপাতি, মালামাল, যানবহন ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় পবিবো চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিনসহ সব স্তরের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বলা হয়, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবোর্ড) এবং বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসমূহ (পবিস) দেশের অতি মূল্যবান জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান (কেপিআই)। সুতরাং যেকোনো অবস্থা ও পরিস্থিতিতে এর সর্বাত্মক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এ কারণেই দেশের পল্লী বিদ্যুতের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।

পবিবো চেয়ারম্যান পল্লী বিদ্যুতায়নের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারিবারিক ও জাতীয় জীবনে শুদ্ধাচার, ধর্মীয় ও নৈতিক অনুশাসন এবং সামাজিক মূল্যবোধসহ বিভিন্ন ইতিবাচক বিষয়য়ের প্রাত্যহিক চর্চা ও ক্রমাগত পারিবারিক নিয়ন্ত্রণ, নজরদারীর মাধ্যমে সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদ সুষ্ঠু প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশ গঠন ও চালু রাখার পরামর্শ দেন।

তিনি বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে ঊর্ধতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজারগণকে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রের নির্বাহী প্রধান হিসেবে অরাজকতার বিষয়ে সচেতন থেকে সময়মত সক্রিয় ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান।

এ ক্ষেত্রে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা, আর্চওয়ে গেট স্থাপন, মেটাল ডিটেক্টর, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র সংরক্ষণ ও এর ব্যবহারবিধি অনুশীলনসহ যাবতীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা অবলম্বনের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের আওতাধীন এক কোটি ৫৬ লাখ ২৫ হাজার গ্রাহককে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে নির্দেশনা দেন তিনি।

এক অফিস আদেশে বলা হয়, পবিবো ও পবিস সদর দপ্তরসহ সব ক্যাম্পাস/কমপ্লেক্সে অতিথি, আগন্তক ও গ্রাহক সদস্যসহ বহিরাগত ব্যক্তিদের চলাফেরার প্রতি সতর্ক নজর রাখা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের খোঁজ খবর নেয়া, তাদের আয়-ব্যয় মনিটর করা, অযৌক্তিক অর্থ প্রাপ্তি এবং সন্তান-সন্ততিগণের মাদকাসক্তি বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জানমাল এবং সব বৈদ্যুতিক স্থাপনাসহ বিভিন্ন কেপিআইসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখার উদ্দেশে কোনো প্রকার অনাকাঙ্খিত ও অবাঞ্চিত ঘটনার পূর্বাভাস পাওয়া মাত্র তা জেলা প্রশাসক, পুলিশ কর্তৃপক্ষ, র‌্যাবসহ সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানানো, তাদের সাহায্য গ্রহণ করার বিষয়ে বাপবিবোর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও জানানোর নির্দেশ দেয়া হয়।

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:০০ এএম, ১৫ জুলাই ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ

Share