প্রতারণার অভিযোগে ক’দিন আগে গ্রেফতার হওয়া চাঁদপুর মহামায়া দেবপুর এলাকার পল্লী চিকিৎসক লিটন সরকার ‘‘কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্র, মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে’’ মঙ্গলবার বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধিনে চাঁদপুর সদর থানা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সনদপ্রাপ্ত হয়ে ১৯৯৬ সাল থেকে সুনামের সাথে গ্রামের অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের চিকিৎসা দিয়ে আসছি।”
তিনি আরো উল্লেখ করেন, “আজ আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আপনাদের দ্বারে উপস্থিত হয়েছি। একটি মহল দীর্ঘদিন যাবৎ অন্যায়ভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে হয়রানি করে আসছে। চক্রটি আমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজত খাটিয়েছে। আমি সংখ্যালঘু বলে চক্রটি আমাকে ও আমার পরিবারকে বাড়িতে উঠতে দিচ্ছে না। চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি বাগাদি ইউনিয়নের সোবহানপুর গ্রামের সেলিম মালের ছেলে মাসুদ মাল ফিস্টুলা চিকিৎসার জন্য আসে। তার শারীরিক অবস্থা দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেই। পরের দিন আবারো আসলে মাসুদের পরিবারের অনুরোধে আমি জেলা বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহমুদুন্নবী মাসুমের কাছে নিয়ে যাই। তিনি তাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ও অপারেশনের পরামর্শ দেন। সেই মতে মাসুদ মাল দি মুক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়। ২২ ফেব্রয়ারি রাত ৯ টায় মাসুদ মালের ফিস্টুলা অপারেশন করা হয়। ১৮ ঘণ্টা পর ড্রেসিং করার নির্দেশ দিলে রোগীর লোকজন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া রোগিকে ঢাকায় নিয়ে যায়। এরপর থেকে ওই চক্রটি আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে থাকে। আমি এ থেকে আপনাদের লিখনির মাধ্যমে সহযোগিতা চাই।”
আশিক বিন রহিম :
||আপডেট: ০৯:৫১ পিএম,১৩ অক্টোবর ২০১৫, মঙ্গলবার
এমআরআর