হিংসাত্মক পর্ন ভিডিও দেখ নিজের শাশুড়ি উপরই সেক্স হামলা চালাল এক জামাই, আর এই ঘটনার জেরেই প্রাণ হারালেন শাশুড়ি৷ ৩২ বছর বয়সী মোহাম্মদ ইউসুফ তার সন্তানদের সামনেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে৷ ইউসুফ তার ৬৪ বছর বয়সী শাশুড়ির উপর যেভাবে নির্যাতন চালিয়েছিল তা শুনে অবাক বনে গিয়েছে আদালতও৷
আসলে পর্ন ফিল্মের নেশাগ্রস্ত ব্যক্তিদের উপর মানসিক ও শারীরিক চাপ পড়ে৷ এই ঘটনা অনেকটা সেকরমই৷ লন্ডনের উত্তর দক্ষিণ এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে৷ এই ঘটনায় আদালত অভিযুক্ত ইউসুফকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে৷
সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত ইউসুফ নিজের বাড়িতে যখন তার শাশুড়ির উপর অত্যাচার করে তখন বাড়িতে তার দুই ছেলেও ছিল৷
দুই শিশু পাশের ঘরে ঘুমোচ্ছিল৷ তারা তাদের বয়ানে বলেছে, যখন তাদের বাবা তাদের দিদাকে অমানবিক অত্যাচার করছিল তখন সে নিজেকে বাঁচাতে চিৎকার করতে শুরু করে৷ দিদার আওয়াজ তারা শুনেছিল৷ যেহেতু দুজনেরই বয়স ১০ এবং ১৩ বছর তাই তারা চিৎকারের কারণ বুঝতে পারেনি৷ এই ঘটনার তারা দুজনেই তাদের বাবার বিরুদ্ধে আদালতে বয়ান দিয়েছে৷ দুই শিশুই এই ঘটনার মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে৷ এদের মধ্যে একজন অবসাদগ্রস্ত হয়ে নিজের ক্ষতি করার চেষ্টাও করেছে৷ পুলিশের বর্তব্য অনুযায়ী মোহম্মদ ইউসুফ পর্ণ ছবি দেখে মানসিক দিক থেকে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল৷
এই কারণের সে তার শাশুড়িকে হত্যা করে৷ পুলিশ আদালতের সামনে যে প্রমাণ পেশ করেছে তা অনুযায়ী ইউসুফ পর্ণ ভিডিও দেখার পরই উত্তেজিত হয়ে শাশুড়ির উপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করে৷ এরপরই সে তার শাশুড়িকে মৃত্যুর মুখে ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়৷ এরপর প্রায় কয়েকঘন্টা ব্যথায় ছটফট করার পর প্রাণ হারায় ৬৪ বছর বয়সী নারী৷
আদালত জানিয়েছে, তার সামনে এখনও পর্যন্ত এমন কোন নির্মম হত্যা কাণ্ড আসেনি৷
প্রসঙ্গত, গত কিছুদিন আগে, ভারতের মধ্যপ্রদেশের ছতরপুর এলাকায় এক ষাট বছরের বৃদ্ধাকে তার দুই জামাই নেশার ঘোরে ধর্ষণ করে৷
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৪:১৯ পিএম, ০৮ জানুয়ারি ২০১৬, শুক্রবার
এমআরআর