চিত্রনায়িকা পরী মনি অনলাইন পত্রিকা প্রিয় ডটকমের সম্পাদক ও সিনেমা প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন বুধবার। এ নিয়ে অনলাইনটির ফিচার এডিটর গোলাম রাব্বানী ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।
ওই স্ট্যাটাসের মন্তব্যের ঘরে ‘মহুয়া সুন্দরী’র নায়িকা লেখেন, লেখার জন্য লাগে সত্য ও ভিত্তি।
গোলাম রাব্বানী লেখেন, ‘সাংবাদিকতা আর রাজনীতি করতে গেলে মামলা খেতে হয় এটা সাধারণ ঘটনা। গত ১২ বছরের সাংবাদিকতার ক্যারিয়ারে হুমকি ধামকি গালি অনেক কিছুই খাইছি কিন্তু মামলা খাই নাই। এবার মামলা খাইলাম। জেলের ভাত খাওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতিও নিচ্ছি। বিষয়টা বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে। জেলে যাওয়ার স্বপ্নটা বুঝি পূর্ণ হতে যাচ্ছে। আর আমার স্বপ্ন পূরণে সহযোগিতা করলেন প্রিয় অভিনেত্রী পরী মনি।
শুধু তাই নয় আমার জানা মতে এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে প্রথম ঘটলো। কোনো নায়িকা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করলো। ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকলাম আমরা। পরীকে আমি পছন্দ করি। ফলে প্রিয় মানুষ বিষ দিলেও খেতে আমার অসুবিধা নাই। আমি সেলিব্রেট করতে চাই মামলা খাওয়ার বিষয়টা। আমার অনেক বন্ধুরাই টেনশনে আছেন আমাকে নিয়ে। আমি তাদেরকে বলতে চাই আমি মোটেও টেনশন করছি না। পরীর প্রতি কোনো রাগও জন্মায়নি, কারণ আমি জানি পরীর এ অভিমান ভেসে যাবে পূর্ণিমার আলোয়।’ তিনি আরো লেখেন, ‘কিন্তু আমার প্রতিবেদক মাহমুদ উল্লাহ এবং আমাদের শ্রদ্ধেয় সম্পাদক জাকারিয়া স্বপনের নাম মামলায় দেইখা কষ্ট পাইলাম। আর যে অভিযোগ করা হয়েছে সে অভিযোগটাও শিশুতোষ। আমার বিশ্বাস পরী এ কাজটি রাগে অভিমানে করেছে। এবং নিজের বুদ্ধিতে এ কাজটি সে করেনি। আসুন সেলিব্রেট করি… পরীর জন্য অনেক শুভ কামনা।’
ওই স্ট্যাটাসের মন্তব্যের ঘরে পরী প্রথমে একটি স্ক্রিন শট দেন। যেখানে সংবাদটি দেখিয়ে পরী চ্যাটে গোলাম রাব্বানীকে লেখেন, ‘কতো বড় একটা বুকের পাটা নিয়ে নিউজটা করল আপনার রিপোর্টার, তো ডিলিট ক্যান করলো? এই কথাগুলো প্রুভ রেডি করতে বলেন কষ্ট করে। সাক্ষী প্রমাণ যোগাইতে বলেন ভাই আমার।’
অবশ্য স্ক্রিনশটে দেখানো অংশটুকু অনলাইনটিতে বর্তমানে প্রদর্শিত সংবাদে নেই। অন্য এক মন্তব্যে পরী মনি লিখেন, ‘কারো নামে স্ট্যাটাস দেয়ার আগে ভাবতে হয় কার নামে দিচ্ছেন। লিখতে তো অনেকেই পারে। তার জন্য সাংবাদিক, কবি হওয়া লাগে না। লাগে সত্য আর ভিত্তি।’ উত্তরে রাব্বানী লেখেন, ‘ঠিক বলেছেন আপনি সহমত।’
মামলার আরজিতে পরী মনি উল্লেখ করেন, প্রিয় ডটকমের রিপোর্টার মোহাম্মদ উল্লাহ তার সম্পর্কে ইতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশের প্রলোভন দেখিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকার করায় ওই রিপোর্টার তার ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দেন।
পরবর্তীতে ১৭ নভেম্বর সম্পাদক জাকারিয়া স্বপনের সহযোগিতায় প্রিয় ডটকমে পরী মনি সম্পর্কে একটি মানহানিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করেন আসামি মোহাম্মাদ উল্লাহ।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, পরী মনি মাদক সেবন করেন, তিনি নাইট ক্লাবে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কাটান এবং এক সংসদ সদস্যের জোরে তিনি কাউকে পরোয়া করেন না।
এই প্রতিবেদনের কারণে তার ১০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে মর্মে মামলাটি দায়ের করেছেন পরী মনি।
নিউজ ডেস্ক ।। আপডেট: ১০:৫২ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৫, বুধবার
ডিএইচ