প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মা’ সম্বোধন করে পরীমনি লিখেছেন, গত চার দিন ধরে থানা থেকে শুরু করে আমাদের চলচ্চিত্র বন্ধুদের কাউকে পাই না মা। যাদেরকে পেয়েছি সবাই বিস্তারিত ঘটনা জেনে “দেখছি” বলে চুপ হয়ে যায়!’
কোথাও প্রতিকার না পেয়ে পরীমনি লিখেছেন, ‘আমি চুপ করে থাকতে পারি না। আজ আমার সঙ্গে যা হয়েছে তা যদি ‘‘আমি মেয়ে’’, ‘‘লোকে কী বলবে’’ এই গিলানো বাক্য মেনে নিয়ে চুপ হয়ে যাই, তাহলে অনেকের মতো আমিও কেবল তাদের দল ভারী করতে চলেছি হয়তো। আফসোস ছাড়া কারওর কী করবার থাকবে তখন! আমি তাদের মতো কি চুপ করে থাকতে পারি মা? আমি তো আপনাকে দেখিনি চুপ থেকে কোনো অন্যায় মেনে নিতে!’
শৈশবে মা হারানোর ঘটনা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘আমার মা যখন মারা যান তখন আমার বয়স আড়াই বছর। এত দিনে কখনো আমার এক মুহূর্ত মাকে খুব দরকার মনে হয়নি। আজ মনে হচ্ছে, ভীষণ রকম মনে হচ্ছে, মাকে দরকার, একটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরার জন্য দরকার। আমার আপনাকে দরকার মা। আমার এখন বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে দরকার মা। মা আমি বাঁচতে চাই। আমাকে বাঁচিয়ে নাও মা।’
সিনেপ্রেমীদের প্রশ্ন, হঠাৎ কেন এমন স্ট্যাটাস দিলেন পরীমনি? কে বা কারা নির্যাতন করেছেন এই চিত্রনায়িকাকে? আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব কেন?
এ বিষয়ে পরীমণির সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন গণমাধ্যম কর্মীরা। ফোন ধরেই কাঁদতে লাগলেন তিনি। জানালেন, তার স্ট্যাটাসটি সত্য। অনেক ভেবেচিন্তেই এই স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার সঙ্গে অনেক খারাপ কিছু ঘটেছে যে স্ট্যাটাস দিতে বাধ্য হয়েছেন।
কিন্তু স্ট্যাটাসে অভিযুক্তের নাম লেখেননি, কে বা কারা তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেছে? সেই প্রশ্নের জবাবে পরীমনি বলেন, ‘এটা আমি অবশ্যই বলব। তবে ফোনে বলা যাবে না। আপনারা সাংবাদিকরা আসেন। আমি সবার সামনে, ক্যামেরার সামনে বলতে চাই। আমি সবাইকে জানাতে চাই। আমার ভরসা নষ্ট হয়ে গেছে। আমি কাউকে ভরসা করতে পারি না ভাই। আজ রাতে আমার যদি কিছু হয়ে যায় তার দায়িত্ব কে নেবে? আমি এজন্য ফোনে কিছু বলব না।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘পরীমণি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিচার চান তিনি।’
বিনোদন ডেস্ক,১৩ জুন ২০২১