পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে জানলো বাবা আর নেই

একদিকে জীবনের একধাপ এগিয়ে নেওয়ার পরীক্ষা, আরেকদিকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতেই জন্মদাতা পিতার মৃত্যুর খবর। মুহূর্তেই আবেগঘন পুরো হলরুম।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড রান্ধুনীমূড়া (মনিনাগ) হেলু মেম্বারবাড়ির মেয়ে মিতু আক্তার। রোববার সকালে সহপাঠীদের সঙ্গে পরীক্ষার কেন্দ্রে যায়।

হলরুম পেয়েছে, সিট নম্বর খুঁজে নিজ আসনেও বসেছে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই হঠাৎ খবর আসে মিতু আক্তারের বাবা মো. টিটু (৪০) আর বেঁচে নেই। মুহূর্তের মধ্যেই আবেগঘন হয়ে ওঠে পুরো হলরুম।

বাবার মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙে পড়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী মিতু আক্তার। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহপাঠীদের সহযোগিতায় সদ্য শুরু হওয়া এসএসসির বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা শেষ করে।

মিতু আক্তার হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড রান্ধুনীমূড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এবারে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে হাজীগঞ্জ আমিন মেমোরিয়াল হাইস্কুল কেন্দ্রে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. সোহেল জানান, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন টিটু মিয়া। সকালে নিজ বাড়িতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলেসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে যান। তার বড় মেয়ে রান্ধুনীমূড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।

রান্ধুনীমূড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম মজুমদার জানান, পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই হঠাৎ খবর আসে মিতুর বাবা আর পৃথিবীতে নেই। বিষয়টি মিতু জানার পর কান্নায় ভেঙে পড়ে। পরে আমি ও তার সহপাঠীরা বুঝিয়ে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সাহায্য করি।

পরীক্ষার্থী মিতু আক্তারের বাবার মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম ও পৌরসভার মেয়র আ স ম মাহবুব উল আলম লিপন।

স্টাফ করেসপন্ডেট, ১ মে ২০২৩

Share