তার কাজ ছিল ডাক্তারি পরীক্ষার নামে মহিলা রোগীদের বিবস্ত্র করা। এর পর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন লালসা চরিতার্থ করা। সেই দৃশ্য আবার মুঠোফোনে ধারণ করা। তারপর সেই ভিডিও দেখিয়ে মহিলা রোগীদের যৌন সম্পর্ক করতে বাধ্য করা। এসব কাজ করতেন এমবিবিএস পাস করা চিকিৎসক নজরুল ইসলাম।
পিরোজপুরের ভাণ্ডরিয়া উপজেলার শাপলা ক্লিনিকের চিকিৎসক তিনি। তাকে গ্রেফতারের পর এমন তথ্য বের হয়ে আসে।
বুধবার রাতে তার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাসরিন আক্তার (২৫) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। রাতেই নাসরিনের বাবা শাহজাহান সরদারের বাদী হয়ে মামলা করে। মামলায় চিকিৎসক নজরুল ইসলাম ও ক্লিনিকের মালিক আব্দুল আজিজকে আসামি করা হয়। পরে চিকিৎসক নজরুল ইসলাম ও ক্লিনিকের মালিকের ভাই আজিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সিলগালা করে দেওয়া হয় ক্লিনিকটি। নাসরিন বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার সেলিম হাওলাদারের স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মো. ওয়ালিদ হোসেন তার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, নজরুল ইসলাম মহিলা রোগীদের আলট্রাসনোগ্রাফি ছাড়াও যে কোন ধরনের ডাক্তারি পরীক্ষা করতেন। এ সময় তিনি রোগীদের যৌন নিপীড়ন করতেন। এসব যৌন নিপীড়নের কিছু ভিডিও জব্দ করা হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আলট্রাসনোগ্রাফির সময় নজরুল ইসলাম নারীদের বিবস্ত্র করতেন। এর পর তিনি তাদের স্পর্শকাতর স্থানে মালিশ করতেন। পরে রোগীদের যৌন সম্পর্ক করতে বাধ্য করতেন।
ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, প্রসূতি নাসরিন আক্তারের মৃত্যুর ঘটনায় ডা. নজরুল ইসলাম, ক্লিনিক মালিক আব্দুল আজিজ ও অপারেশনে সহায়তাকারী আজিজুর রহমানের নামে একটি মামলা হয়েছে।
চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক ||আপডেট: ১০:১৫ পিএম,১৪ অক্টোবর ২০১৫, বুধবার
এমআরআর