প্রসব-পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনাসহ স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা সেবা জোরধারকরণে এডভোকেসি সভা সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সিসিএসডিপি’র আয়োজনে এন জেন্ডার হেলথ বাংলাদেশ মায়ের হাসি’র সহযোগিতায় ও চাঁদপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস অনুষ্ঠানটি বাস্তবায়ন করে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিবার পরিকল্পনার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. মোঃ ইলিয়াস বলেন, দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় চাঁদপুরে পরিবার পরিকল্পনার সেবার মান অনেক বেড়েছে। গর্ভবতী মাকে হাসপাতালে নিয়ে গর্ভপাত করা ভালো। বাড়িতে গর্ভপাত করালে ঝুঁকি বেশি থাকে, এবং বিভিন্ন ধরনের জটিলাতা সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু হতে পারে। ১ম সন্তানের ২বছরের পূর্বে আরেকটি সন্তান না নেওয়াই উত্তম। বাংলাদেশে প্রতি ৩ কি: মি: আগের চেয়ে ৩ শতাধিক লোক বেড়ে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে আমাদের দাঁড়িয়ে থাকার জায়গাও থাকবে না। তাই যতটা সম্ভব আমাদের জনসংখ্যার হার কমিয়ে আনতে হবে। আর সেটা সম্ভব বাল্য বিবাহ বন্ধসহ নানা পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাল্য বিয়ে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নারীদের ১৮ বছরের আগে বিবাহ দিলে সে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।। যার কারণে তাকে মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হয়। ১৮ বছরের পূর্বে বিয়ে হলে সন্তান অপরিপক্ক হয় । ওই সন্তান পৃথিবীতে বলিষ্ঠ হয়ে আসতে পারে না। সে নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। পরিপূর্ণ বয়সে বিয়ে হলে সন্তান বুদ্ধিমান ও মেধাসম্পন্ন হয়। মানুষের শারীরিক পরিপক্ক লাভ করতে হলে মেয়েদের ১৮ বছর বয়সে আর ২১ বছর বয়সে মানুষিক পরিপুর্ণতা আসে। আমাদের সমাজে ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী ছেলে মেয়েদের বিয়ের বন্ধন হয়ে থাকে। কিন্তু সেখানে বয়স নিয়ে মিথ্যা শুরু হয়। সঠিক বয়স লুকিয়ে রেখে মনগড়া বয়স বানিয়ে বিয়ের শুভ সুচনা করা হয়। আমাদেরকে এসবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে হবে।’
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামালের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উদয়ন দেওয়ান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. শাহজাহান মিয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যন মুনিরা চৌধুরী।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ সোলায়মান, বাগাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল, রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী প্রমুখ।
প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রসব-পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনাসহ স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা সেবা জোরদারকরন বিষয়ে উপস্থাপন করেন এনজেন্ডারহেল্থ প্রতিনিধি কাইয়ুম।
সভায় অংশগ্রহণ করেন চাঁদপুর সদর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, মহিলা মেম্বার, এনজিও প্রতিনিধি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, মসজিদের ইমাম, ফার্মাসিস্ট ও পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের বিভিন্ন স্তুরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রতিবেদক- আনোয়ারুল হক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭: ০৬ এএম, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭, সোমবার
ডিএইচ