মানুষ মানুষের জন্য.. জীবন জীবনের জন্য.. একটু সহানুভুতি কি পেতে পারে না ও বন্ধু! সমাজের কিছু মানুষ এখনও রয়েছে যারা বিপদে নিজের সবটুকু দিয়ে মানুষের পাশে দাড়াঁয়,সাহায্য-সহানুভুতির মাঝে অসহায় দুস্থ মানুষের পাশে দাড়াঁয়। কেউ নীরবে আবার কেউ প্রকাশ্যে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন সমাজের অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য।
তেমনিভাবে এক দৃষ্টান্ত দেখালেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর মোঃ শফিকুল ইসলাম।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার ৯নং দক্ষিণ ব্যাসদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হাবীবা আক্তার (ইভা) নামে ৫ম শ্রেণির এক দরিদ্র শিক্ষার্থীকে উপজেলার ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর মোঃ শফিকুল ইসলাম তার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে নতুন স্কুল ড্রেস উপহার তুলে দেন। মানবতা কাকে বলে তিনি তা প্রমাণ করলেন।
হাবীবা আক্তার ইভা উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড দুলালকান্দি গ্রামের মৃত ইকবাল হোসেনের মেয়ে। নতুন স্কুল ড্রেস পেয়ে এ শিক্ষার্থী যেমন আনন্দে উদ্বেলিত ছিলো। তেমনি উচ্ছ্বসিত ছিলো শিক্ষকরাও।
এসময় অত্রবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল খায়ের, সহকারী শিক্ষক আছিয়া খাতুন,সহকারী শিক্ষক জেসমিন আক্তার, মোখলেছুর রহমান, শ্যামল কুমার বাড়ৈ, কুমকুম আক্তার, নিলুƒফা ইয়াছমিন,নূরে আলম, এআর জ্যোতি ও অফিস সহায়ক জহিরুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়,করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘ ৫৪৩ দিন অর্থাৎ প্রায় দেড় বছর পর প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয় চলতি মাসের রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে। স্কুল খোলার পর বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সরকারের নির্দেশনা যথাযথ বাস্তবায়নে উপজেলার ৯নং দক্ষিণ ব্যাসদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান উপজেলার ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর মোঃ শফিকুল ইসলাম । পরিদর্শনে গিয়ে তিনি জানতে পারেন হতদরিদ্র হাবীবা আক্তার ইভার বাবা নেই। স্কুল ড্রেসের জন্য মন খারাপ ক্ষুদে শিক্ষার্থীর। ওই দিনই তিনি তার নতুন ড্রেস দেওয়ার জন্য দর্জি দোকানিকে অর্ডার করেন।
এরই পরিপেক্ষিতে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) তিনি নতুন এ স্কুল ড্রেস উপহারটি হতদরিদ্র শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেন।
ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সরকারের নির্দেশনা যথাযথ বাস্তবায়নে আমি অত্র স্কুলটিতে পরিদর্শনে যাই। পরিদর্শনকালে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের শারীরিক অবস্থা এবং পরিবারের সদস্যদের খবর নিয়েছি। এর মাধ্যমেই শিক্ষার্থীর স্কুল ড্রেসের সমস্যার কথা জানতে পেরে আমি নিজে থেকে তাকে এই উপহার তুলে দেই।
কোনোভাবেই লেখাপড়ায় পিছিয়ে থাকা চলবে না বলে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দিয়েছি। এ জন্য যত ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন দেবো। আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করেছি।একইভাবে সকলে মানুষের প্রয়োজনে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদক