১২ মার্চ রোববার সকালে সকাল ৯টা। চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে যথা নিয়মে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি ঈগল-৩।
প্রতিদিনের ন্যায় লঞ্চটির ডেকে যাত্রীতে পরিপূর্ণ ছিলো। কিছু সময় পর উপরের কেবিন থেকে নেমে আসেন প্যান্ট-সার্ট পরিহিত একজন ভদ্রলোক। হঠাৎ করেই তিনি যাত্রীদের সাথে মিশে তাদের খোঁজ-খবর নিতে থাকেন। যাত্রীরাও আন্তরিকতার সাথে তার সাথে খোলামেলা কথা বলেন।
হঠাৎ কে যেনো বলে উঠেন ‘আরে তিনি তো চাঁদপুরের নতুন জেলা প্রশাসক’। মুহূর্তের মধ্যে চারিদিকে কানাঘুষা পড়ে যায়। এতক্ষণে উপস্থিত সবাই বুঝে যান যে, যাত্রীদের সাথে কথা বলা লোকটাই চাঁদপুরের নবাগত জেলা পশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান।
ফলে সেখানে উৎসুক যাত্রীদের ভিড় জমে যায়। এসময় সেখানে উপস্থিত প্রতিবন্ধি ভিক্ষুক শুক্কুর আলীর (৬০) সাথে বেশকিছু সময় ধরে আন্তরিকতার সাথে কথা বলেন জেলা প্রশাসক। ভিক্ষুক শুক্কুর আলীর সব কথা শুনে তাকে ভিক্ষা না করার শর্তে ক্ষুদ্র ব্যবসা করে জীবন জীবিকার পথ বেছে নেয়ার পরার্মশ দেন।
শুধু তাই তাৎক্ষণিক তাকে লঞ্চের দোকান থেকে প্রায় আট’শ টাকার চিপস, বিস্কুট ও চকলেট কিনে পঙু ভিক্ষুকের হাতে তুলে দেন আর ভিক্ষা না করে ব্যবসা করতে চাইলে জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা করে দিবেন বলে তাকে আশ্বাস দেন।
জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি তৃণমূল থেকে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে বেশি পছন্দ করেন।
প্রসঙ্গত, ১২মার্চ সকালে সরকারি কাজের জন্য এমভি ঈগল- ৩ লঞ্চযোগে চাঁদপুর থেকে নদী পথে ঢাকার রওনা হন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান। যাত্রাপথে তিনি নিজের পরিচয় গোপন রেখে লঞ্চের কেবিন ছেড়ে নিচে এসে সাধারন যাত্রীদের সাথে মিশে যান। তখন একান্ত আলাপচারিতায় সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর নেন।
আশিক বিন রহিম