আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে নুসরাত ফারিয়া, ওম, ও রিয়া সেন অভিনীত সিনেমা ‘হিরো ৪২০’। ‘আশিকি’ দিয়ে অভিষেক হলেও এরইমধ্যে বলিউডে যাওয়ার টিকিট নিশ্চিত করেছেন খুব অল্প সময়ে।
সম্প্রতি কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজারে নতুন ছবির পাশাপাশি নিজের অনেক অজানা কথা শেয়ার করলেন ঢালিউডের বর্তমান সেনসেশন নুসরাত ফারিয়া।
আনন্দবাজার: স্কলারশিপ পাওয়া ভালো ছাত্রী থেকে বড় পর্দার লাভার গার্ল। চেঞ্জটা কেমন এনজয় করছেন?
নুসরাত ফারিয়া: দারুণ। আমি বরাবরই ভালো ছাত্রী ছিলাম। ক্লাস এইট থেকেই স্কলারশিপ পেতাম। আর অভিনয় শুরুর পর থেকে লাভার গার্ল ইমেজটা তৈরি হয়েছে। বিশ্বাস করুন আমি এটাই মেনটেন করতে চাই।
আনন্দবাজার: কলকাতায় নাকি অনেকে বিশ্বাসই করছেন না আপনি বাংলাদেশের?
নুসরাত ফারিয়া: (চোখ বড় করে) ঠিক বলেছেন। আমকে এখানে সকলে ঘরের মেয়ে বলেই মনে করেন। অনেকে বিশ্বাসই করে না আমি বাংলাদেশের। এই তো সেদিন শো-তে একজন আমাকে বললেন, ‘তুমি তো আমাগো মাইয়া’।
আনন্দবাজার: অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন ছিল?
নুসরাত ফারিয়া: না। নাচতে ভালোবাসতাম। সালসা, কনটেম্পরারি শিখেছি। মিলিটারী পরিবারে বড় হয়েছি তো। সেখানে হাউজ পার্টি লেগেই থাকত। পারফর্ম করতাম। তবে অভিনেত্রী হব ভাবিনি।
আনন্দবাজার: কী ভাবে মিডিয়ায় এলেন?
নুসরাত ফারিয়া: স্কুল থেকেই ডিবেট করতাম। সে ভাবেই মিডিয়ায় আসি। সে সময় ৮০০ টাকা পেতাম প্রতি শোতে। জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতাতেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। ক্লাসে স্পেশাল আদর পেতাম।
আনন্দবাজার: আপনার প্রথম ব্রেক?
নুসরাত ফারিয়া: টুয়েলভ কমপ্লিট করার পর ছোটদের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতাম। তারপর বাংলাদেশের ‘রেডিও ফুর্তি’তে নাইট শোয়ের অফার পাই। যেটা পরে ভাইরাল হয়ে যায়। আসলে টিনএজাররা প্রথম থেকেই আমাকে খুব পছন্দ করে।
আনন্দবাজার: অভিনয়ের ব্যাপারে আপনার পরিবার আপনার পাশে দাঁড়িয়েছিলো?
নুসরাত ফারিয়া: না। একা একা কাঁধে ভারি ব্যাগ নিয়ে অটোতে করে যেতাম। কিন্তু পরে তারাই দেখেছেন যা করছি সেটা ভালোই। বিশেষ করে আম্মু খুব সাপোর্ট করেছে। যেখানে ট্রাভেল করতাম আম্মু সঙ্গে যেত।
আনন্দবাজার: ‘হিরো ৪২০’-এ আপনার চরিত্রটি কেমন?
নুসরাত ফারিয়া: আমার চরিত্রের নাম রাই। একেবারে পাশের বাড়ির মেয়ে। একটু বোকা। সেজন্যই হিরে ৪২০-এর প্রেমে পড়ে যায়।
আনন্দবাজার: আপনি তো বলিউডেও ক্যারিয়ার শুরু করছেন?
নুসরাত ফারিয়া: হুম। ‘গাওয়া দ্য উইটনেস’এ ইমরান হাশমির সঙ্গে অভিনয় করছি।
আনন্দবাজার: কী ভাবে অফার পেলেন?
নুসরাত ফারিয়া: ‘আশিকি’র’ গান দেখেই গাওয়ার কাস্টিং ডিরেক্টর প্রথম ফোন করেন আমাকে। তারপর প্রোডিউসর যোগাযোগ করেছিলেন। আমার চরিত্রটা এখানে বেশ চ্যালেঞ্জিং।
আনন্দবাজার: পছন্দের অভিনেতা?
নুসরাত ফারিয়া: হৃতিক রোশন। আমার ছোটবেলার ক্রাশ। ওর জন্য আমি সব করতে পারি।
আনন্দবাজার: ইমরানের পরেই যদি হৃতিকের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পান?
নুসরাত ফারয়িা: (এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি। শুধুই এক্সপ্রেশন।)
আনন্দবাজার: আর টলিউডে?
নুসরাত ফারিয়া: অঙ্কুশ। আই লাভ হিম। ও আমেজিং। আমার প্রথম ছবি ‘আশিকি’ ওর সঙ্গে। আমাকে খুব সাহায্য করেছে। ও না থাকলে আমি ভালো পারর্ফম্যান্স দিতেই পারতাম না।
আনন্দবাজার: ঢালিউডে আপনার কোনও বন্ধু আছে?
নুসরাত ফারিয়া: অফকোর্স। শুভ। ও তো কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশের শাহরুখ খান হয়ে যাবে।
আনন্দবাজার: আপনাকে তো টালিগঞ্জের ইমরান হাশমিও বলছেন অনেকে?
নুসরাত ফারিয়া: সত্যি। আর বলবেন না! (অবাক হয়ে) প্রত্যেক ছবিতে চুমুর দৃশ্য রাখছেন পরিচালকরা। আমি কি নিজেও মাঝে মাঝে ভাবি আমি কি টালিউডের ইমরান হয়ে যাচ্ছি?
আনন্দবাজার: বাংলা ছবির ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
নুসরাত ফারিয়া: দেখুন, এপার বাংলা এপার বাংলার মধ্যে কমন বাংলা। রান্না মানে খাওয়া দাওয়া আর সিনেমা দুই বাংলার সেতু। দিনের শেষে আমরা চাই মানুষ হলে গিয়ে সিনেমা দেখুক। তাই এই উদ্যোগ তো খুব পজেটিভ বিষয়।
আনন্দবাজার: অনেকেই জানতে চান নুসরাতের জীবনের বিশেষ মানুষটি কে?
নুসরাত ফারিয়া: (মুখের দু’পাশে হাত দিয়ে চুপিচুপি) বলা যাবে না। তবে ভালোবাসাই আমার শক্তি। তবে আরও একজন আমার সোর্স অফ এনার্জি।
আনন্দবাজার: কে তিনি?
নুসরাত ফারিয়া: রনি। আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। আমার সব কষ্ট ও জানে। আমি কাঁদতে কাঁদতে ওকে ফোন করেল হাসিমুখে ফোন রাখি।
আনন্দবাজার: তাহলে বিয়েও তো…?
নুসরাত ফারিয়া: (মুচকি হেসে) ওয়েল ২৫ বছরে বিয়ে করব। তবে কাকে এখন বলবো না।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট ১:১০ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ