উপজেলা সংবাদ

গর্ভকালীন প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী পরিচর্যা

‎Saturday, ‎April ‎04, ‎2015  09:40:34 PM

আশিক বিন রহিম :

চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমির আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘জনসংখ্যা সমস্যাই বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রধান সমস্যা। এর ফলে অন্যায় প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের মাঝে পারস্পরিক বিরোধ তৈরি হচ্ছে। যার ফলে আমাদের উচিত সচেতন হওয়া যাতে করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।’

তিনি শনিবার সকালে চাঁদপুর প্রেসক্লাবে আইইএম ইউনিট, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত পরিবল্পিত পরিবার গঠন, গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী পরিচর্যা ও নবজাতকের যতœ বিষয়ে প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়াকর্মীদের অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি মিডিয়াকর্মীদের অনুরোধ করে বলেন, ‘আপনারা আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে জনসাধারণকে সচেতন করার জন্যে এগিয়ে আসবেন। বিশেষ করে যখন কোনো শিশু অন্যায়ের শিকার হয়, তখন যাতে আপনাদের লেখনীর ভাষা এমন না হয় যাতে করে ওই শিশুকে বিপদে পড়তে হয়।’

তিনি বলেন, ‘যেকানো অবস্থাতেই বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে হবে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। এজন্যে জনসাধারণকে সচেতন করে তুলতে হবে। তাহলেই জনসংখ্যা আমাদের দেশের জন্যে বোঝা না হয়ে শক্তিতে পরিণত হবে।’

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. মো. জাহাঙ্গীর খানের সভাপতিত্বে ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী, ডা. মো. মতিউর রহমান ও জেলা তথ্য কর্মকর্তা নূরুল হক।

অনুুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পণা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক সুপারভাইজার মো. ইলিয়াস। এসময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকরাম চৌধুরী, কাজী শাহাদাত, শাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলমসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার বিভিন্ন সাংবাদিকগণ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সাংবাদিক মো. আহসান উল্লাহ।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে ৬৬% বিয়েই হচ্ছে বাল্য বিবাহ। যা আমাদের শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হবে। তছাড়া গর্ভাবস্থায় আমাদের মায়েদের যথেষ্ট পরিমাণে পরিচর্যা করা হয় না। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের দেশে মাত্র ৫৩% মায়েরা প্রসব পরবর্তী সেবা পাচ্ছে। কিন্তু পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্রে তা শতভাগ পাচ্ছে। সকলের উচিত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্যে সচেতন হওয়া। আর এর জন্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসলে খুব সহজেই তারা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারবে। যা অত্যন্ত আধুনিক ও ঝুঁকিমুক্ত।’

চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/এবিআর/২০১৫

Share