ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ১০ পরামর্শ

ডায়াবেটিস বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সবদেশের মানুষের জন্য হুমকি। অনেকেই ডায়েবেটিস রোগটাকে তেমন পাত্তা দিতে রাজি নন। কিন্তু ডায়েবেটিস মোটেও হেলাফেলার নয়। বরং অনেক কিডনি ফেইলিয়র মতো বিভিন্ন জটিল রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে ডায়েবেটিস।

বিশ্ব বিখ্যাত কিছু স্বাস্থ্য সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান—যেমন যুক্তরাষ্ট্রের মায়ো ক্লিনিক, যুক্তরারেজ্যর ন্যাশন্যাল হেলথ সার্ভিস, আন্তর্জাতিকক ডায়েবেটিস ফেডারেশন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভিন্ন রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে নিচে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ উল্লেখ করা হলো :

শর্করা পরীক্ষা করুন : নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করা জরুরি। নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেই কেবল সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন।

সুষম খাবার খান : সঠিক পরিমাণে এবং সুষম খাবার গ্রহণ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। খাবারে পর্যাপ্ত শাক-সবজি, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর প্রোটির অন্তর্ভুক্ত করুন। খাদ্য তালিকা থেকে শর্করার পরিমাণ কমান।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন : প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। হাঁটা, সাঁতার বা সাইক্লিংয়ের মাধ্যমে এই ব্যায়াম করতে পারেন।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন : রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে শরীর থেকে পানি দ্রুত নিঃসৃত হয়, তাই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিৎ।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন : স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এবং এর জটিলতা কমাতে সাহায্য করে। সঠিক ডায়েট এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন।

পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন : অনিয়মিত বা কম ঘুম রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা গভীর এবং নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম নিশ্চিত করার চেষ্টা করুন।

নিয়মিত ওষুধ খান : চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ইনসুলিন বা অন্যান্য ওষুধ গ্রহণ করা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

মানসিক চাপ কমান : অতিরিক্ত মানসিক চাপ রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। নিয়মিত মেডিটেশন, যোগ ব্যায়াম বা শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করে চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।

পায়ের যত্ন নিন : ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের সমস্যা সাধারণ। প্রতিদিন পা পরীক্ষা করুন এবং পায়ের কোনো ক্ষত বা সংক্রমণ দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা নিন।

চিকিৎসকের পরামর্শ নিন : ডায়াবেটিসের জটিলতা প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রয়োজন হলে সময়মতো পরীক্ষা এবং চিকিৎসা গ্রহণ করুন। এ পরামর্শগুলো মেনে চললে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সুস্থ জীবনযাপন সহজ হবে।

চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট
২৫ অক্টোবর ২০২৪
এজি

Share