চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গত চার দিন পূর্বে কুড়ে পাওয়া শিশুটির ঠাই হলো বাবার কোলে। গত মঙ্গলবার হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ মহিলাদের নামাজের স্থানে রেখে যাওয়া শিশুর পরিচয় সনাক্ত করেছে পুলিশ।
১৯ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে শিশুর বাবার কাছে তুলে দেন হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার।
শিশুর নাম আয়েশা সিদ্দিকা, বাবা আজাদ হোসেন একজন রাজমিস্ত্রী। গ্রামের বাড়ি রামগঞ্জ উপজেলার জয়পুরা পুরানবাড়ি। শিশুর মায়ের নাম জান্নাতুল ফেরদৌস মিতু। মিতু লালিত পালিত হয় শাহরাস্তি উপজেলার পাথৈই গ্রামে। সেখান থেকে চার বছর আগে স্বামী আজাদের সাথে মোবাইলের প্রেম হয়। এক বছর প্রেমের পর বিয়ে হয় এই দম্পতির।

স্বামী আজাদ হোসেন কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, ৫/৬ মাস ধরে তাদের কলহ চলছে। তার স্ত্রী মিতু শাহরাস্তিতে তাদের গ্রামে ছিল। সেখানে থেকে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যায়, আর কোলের শিশুটিকে ফেলে যায়। মঙ্গলবার থেকে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এলাকাবাসী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেয়ের ছবি দেখতে পায়।
সে আরো জানায়, স্ত্রীর বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হবে।
হাজীগঞ্জ থানা উপ-পরিদর্শক প্রভাকর বড়ুয়া শিশুকে তার পরিবারের কাছে তুলে দিতে পেরে আনন্দিত।
গত চারদিন ধরে সমাজসেবা কর্মকর্তাগণ নিরলস পরিশ্রম করে শিশুর পরিচর্যা করেন। এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি খুশি সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন।
শিশুর প্রসঙ্গটি জানার পর থেকে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, ‘শিশুকে চট্টগ্রামের ছোটমনি নিবাসে পাঠানোর সকল প্রস্তুতি নেয়ার পর পরিবারের সন্ধান মিলে। পরে হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশীদের তদন্ত শেষে শিশুর পরিবারের পরিচয় নিশ্চিত হয়।’
শিশুকে হস্তান্তরকালে হাজীগঞ্জ উপজেলা ই-সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন শিশুর বাবা, দাদা, নানী ও দুই এলাকার ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও শিল্পী বেগম প্রমুখ।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ১৯ নভেম্বর ২০২১
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur