পরকীয়ার অভিযোগে একই শিকলে আবদ্ধ প্রবাসীর স্ত্রী ও যুবক

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পরকীয়ার অভিযোগে প্রবাসীর স্ত্রীকে এক যুবকের সঙ্গে একই শিকলে বেঁধে রেখে নির্যাতন করেছে গ্রামবাসী। ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের হালইসারের মালয়েশিয়া প্রবাসী দেলোয়ার দেওয়ানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গভীর রাতে সবাই যখন ঘুমিয়েছিল তখন নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের হালইসারের প্রবাসী দেলোয়ার দেওয়ানের ঘরে পার্শ্ববর্তী ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের সালধ গ্রামের মঞ্জুর ভূঁইয়ার ছেলে রাজিব ভূঁইয়াইকে পাওয়া যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা মফিজ শিকদার বলেন, দেলোয়ারের স্ত্রীর সঙ্গে রাজিবের পরকীয়ার বিষয়টি গ্রামের ছেলেরা টের পেয়ে দুইজনকে আটক করে। পরে গ্রামবাসী এসে তাদেরকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে।

দেলোয়ার হোসেনের ছোট ভাই স্বাধীন দেওয়ান বলেন, আমার ভাবির কাছে একটা ছেলে এসেছিল। লোকজন তাদেরকে আটক করেছে। আমি পুলিশকে খবর দিতে থানায় আসছি।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, রাজিব আমার খালাতো ভাই। আমরা একে অপরকে ভাই-বোন ডেকেছি। রাজিব আমার ঘরে এসেছিল টাকা দিতে। এমন সময় ১০-১২ জন লোক এসে ঘরে তালা মেরে দেয়। এরপর তারা ঘরের দরজা ভেঙে ফেলেছে। আমাকেসহ রাজিবকে মেরেছে।

টাকা দেওয়ার বিষয়টি তার স্বামী আগে থেকে জানেন কিনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমার স্বামী জানতো না যে রাজিব টাকা দিতে আসবে। পরবর্তী ঘটনা আমার স্বামী অন্য মানুষ থেকে জেনেছে, আমি তাকে কিছু জানাইনি।

রাজিব ভূঁইয়া বলেন, রাত ১২টার পর টাকা দিতে আসার সময় লোকজন দেখে ফেলেছে। ঘরের দরজা খুলতে বলেছিল লোকজন। আমি কোনো খারাপ কাজ করিনি। এরপর ঘরে ঢুকে তারা আমাকে মারধর করে বেঁধে রেখেছে।

ঘড়িসার ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. নিরব গোলদার বলেন, পরকীয়ার অভিযোগে প্রাবাসীর স্ত্রীকে এক যুবকের সঙ্গে বেঁধে রেখেছে বলে শুনেছি। পরে তার ভাইয়েরা এসে ওই গৃহবধূকে নিয়ে গেছেন। ওই যুবককে মুরব্বিরা ছেড়ে দিয়েছেন।

নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেছেন, পরকীয়ার অভিযোগে এক নারী ও যুবককে বেঁধে রাখার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে পাওয়া যায়নি। গ্রামবাসী আটক করে পুলিশ খবর দিয়ে গ্রামবাসীই আবার ছেড়ে দিয়েছে । মারধরসহ অন্য বিষয় নিয়ে যদি কেউ অভিযোগ করেন, তাহলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

টাইমস ডেস্ক/ ১৯ এপ্রিল ২০২৩

Share