ইসলাম

পবিত্র শবে মেরাজ ১১ মার্চ

দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা আগামী ১১ মার্চ রাতে পালন করবে পবিত্র শবে মেরাজ। শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আলতাফ হোসেন চৌধুরী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে বাংলাদেশের আকাশে আজ কোথাও হিজরি ১৪৪২ সালের পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি। ফলে শনিবার পবিত্র জমাদিউস সানি মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং রবিবার থেকে পবিত্র রজব মাস গণনা করা হবে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৬ রজব অর্থাৎ ১১ মার্চ দিবাগত রাতে শবে মেরাজ পালিত হবে।

লাইলাতুল মিরাজ বা মিরাজের রাতকে আমাদের দেশে সাধারণত শবে মেরাজ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ইসলাম ধর্মমতে, নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াত প্রাপ্তির একাদশ বছরের (৬২০ খ্রিস্টাব্দ) রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে হযরত জিবরাইল (আ.) এর সাথে বোরাকে চড়ে পবিত্র কাবা থেকে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে সপ্তম আকাশের ওপর আরশে আজিমে আল্লাহর দিদার লাভ করেন।

মুসলিমরা এবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে এ রাতটি উদযাপন করেন। ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব আছে, কেননা এ মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ নামাজ মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক (ফরজ) করা হয় এবং এ রাতেই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মুসলিমদের জন্য নিয়ে আসেন নবী মুহাম্মদ (সা.)।

হাদিসে বলা হয়েছে, রজব মাসের শুরু থেকে নবী করিম (সা.) মুসলমানদের বেশি বেশি নেক কাজ করার তাগিদ দিতেন। রজব ও শাবান মাসের পরেই আসে রমজান মাস। এ জন্য রাসুল (স.) মুসলমানদের বেশি বেশি একটি দোয়া পড়তে তাগিদ দেন, তা হলো- ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজবা ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান’। অর্থাৎ- হে আল্লাহ আমাকে রজব ও শাবান মাসে বরকত দান কর, আর রজমান পর্যন্ত আমাদের হায়াতকে বৃদ্ধি করে দাও।

ঢাকা চীফ ব্যুরো, ১৩ ফেব্রুয়ারি,২০২১;

Share