পদ্মা নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর নাম দেশরত্ন শেখ হাসিনা সেতু করার দাবি জানিয়েছেন সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা। আজ বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এই দাবি জানান।
প্রথমে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও পরে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে পদ্মাসেতুর নামকরণের প্রস্তাব করেন মো. ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়চেতা সিদ্ধান্তের কারণে পদ্মাসেতু তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। তাই সেতুর নাম শেখ হাসিনা সেতু করতে হবে। ইতোমধ্যে তিনি এবিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। কিন্তু আমাদেরও কিছু দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরা নেত্রীর ওপর কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য কাজটি করতে চাই। তাই ৩৫০ জন সংসদ সদস্যের পক্ষ থেকে অনুরোধ এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হোক।’
প্রস্তাবটির প্রতি সমর্থন জানিয়ে সরকারি দলের আরেক সদস্য পংকজ দেবনাথ বলেন, দুনিয়ার সবচেয়ে খরস্রোতা নদী পদ্মাকে শাসন করে বঙ্গবন্ধু কন্যার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে এই সেতু নির্মাণ করা। আমি আবারো দাবি জানাই এই সেতুর নাম হবে দেশরত্ন শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিনয় দিয়ে হয়তো বারবার বলবেন, ‘না’। কিন্তু আমরা এই প্রজন্মের যারা, তারা অকৃতজ্ঞ নই, আমরা জানি যখন বিশ্ব ব্যাংক ফান্ড প্রত্যাহার করে নিল, পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে অন্তরায় সৃষ্টি হলো, বঙ্গবন্ধু কন্যা সাহস করে বললেন নিজের টাকায় পদ্মা সেতু বানাব এবং তিনি এটা সম্ভব করেছেন মাত্র ১২ বছরে।’
পংকজ দেবনাথ বলেন, ‘আজকের এই করোনা সংকট থেকে বাঁচার উপায় টিকা। সেই টিকা ভারত থেকে বিশেষ বিমানে বাংলাদেশে পৌঁছেছে। অনেক উন্নত দেশ এখনো টিকা পায়নি। সেই টিকা বাংলাদেশ পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বিজ্ঞ কুটনৈতিক তৎপরতার কারণে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি অগ্রসরমান। আমরা এখন ৪১তম ধনী দেশ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বই পারে দেশকে এগিয়ে-এটা প্রমাণিত হয়েছে।’
পংকজ আরও বলেন, ‘জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়ে একটি মহল এখন ষড়যন্ত্র করছে। তারা মানবতার গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার শত্রু। তাই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কার্যের বিরোধিতা করছে।’ বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিরোধীতাকারীদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা চীফ ব্যুরো, ২১ জানুয়ারি,২০২১;