১০ মিনিটে পদ্মায় বিলীন পাঁচ বসতঘর

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় হঠাৎ করে ভাঙন শুরু হয়েছে। মাত্র ১০ মিনিটে পদ্মায় বিলীন হয়েছে পাঁচটি বসতঘর। ভাঙন আতঙ্কে আরও ৩৭টি বসতঘর স‌রি‌য়ে নেয়া হ‌য়ে‌ছে। হুমকিতে র‌য়ে‌ছে বসতবা‌ড়ি, মস‌জিদ, লঞ্চ ও ফে‌রিঘাট।

১৩ জুলাই মঙ্গলবার সকাল সা‌ড়ে ১০টার দি‌কে দৌলত‌দিয়া লঞ্চ ও ১নং ফে‌রিঘাট এলাকার মাঝামা‌ঝি স্থা‌নে এ ভাঙন দেখা‌ দেয়।

স্থানীয়‌দের অ‌ভি‌যোগ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের অব্যবস্থাপনার কারণে তারা নদীভাঙনের শিকার হয়ে গৃহহীন হয়েছেন। দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হলেও ভাঙন হুম‌কি‌তে থাকা মসজিদ শেখেরপাড়া এলাকায় কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এতে এ ভাঙন দেখা দি‌য়ে‌ছে।

দুপু‌রে সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মজিদ শেখের পাড়ায় ভাঙনের কারণে নদীপাড়ের বাসিন্দারা ঘরবাড়ি সরানোর কাজে ব্যস্ত। কেউ ঘরের খুঁটি খুলছেন, কেউবা অন্যত্র নিচ্ছেন ঘরের চাল। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর স্বজনরা তাদের ঘর সরাতে সাহায্য করছেন।

দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মণ্ডল জানান, দ্রুত নদীভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে আগামীতে আর দৌলতদিয়া ইউনিয়নের অস্তিত্ব থাকবে না। চরম দুশ্চিন্তা আর হতাশায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন পদ্মাপা‌ড়ের ভাঙন আতঙ্কে থাকা মানুষ।

গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফা মুন্সী জানান, গোয়ালন্দ এলাকায় নদীভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ে বারবার ব‌লেও কোনো প্র‌তিকার পা‌ওয়া যাচ্ছে না। চোখের পল‌কে একের পর এক বসতবাড়ি নদীতে বি‌লীন হ‌চ্ছে। জরুরিভিত্তিতে দৌলত‌দিয়া ও দেবগ্রাম এলাকায় নদীশাসনের কাজ না করা হলে মানচিত্র থেকে মু‌ছে যা‌বে এসব এলাকার নাম।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক খান মামুন বলেন, হঠাৎ করে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দি‌য়ে‌ছে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ৪২টি পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দেয়া হয়েছে।

ভাঙন পরিদর্শনে এসে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলশাদ বেগম বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ভাঙন রোধে কাজ শুরু করা হবে।

অনলাইন ডেস্ক, ১৩ জুলাই ২০২১

Share