সারাদেশ

পদ্মায় নৌকাডুবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীসহ নিখোঁজ দুজন

রাজশাহী নগরীতে পদ্মায় নৌকাডুবিতে দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নগরীর উপকণ্ঠ হারুপুর নবগঙ্গা এলাকার এ দুর্ঘটনায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১৩ জনকে।

নিখোঁজ দুজনের একজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সূচনা। অন্যজন অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া রিমন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন জানান, শুক্রবার বিকেলে পদ্মা নদীতে ১৫ জন যাত্রী নিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ডুবে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় ১৩ জনকে উদ্ধার করা হলেও এখনও নিখোঁজ দুইজন। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।

বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের নবগঙ্গা এলাকায় পদ্মা নদীতে নৌকাভ্রমণে বের হয়েছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। নৌকার যাত্রীদের কেউ কেউ ঢাকা থেকে রাজশাহীতে বেড়াতে এসেছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর নাম সুচনা (২০)। তিনি ঢাকার আমেরিকা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। থাকেন ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায়। তিনি পবা উপজেলার খোলাবোনা এলাকায় চাচা জালাল উদ্দিনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। নিখোঁজ আরেকজনের নাম রিমন (১৪)। তার বাড়ি নওগাঁয়। এ ছাড়া ইসতিয়াক আহমেদ ওরফে হৃদয় (২৭) নামের একজনকে উদ্ধার করে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর বাড়ির ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

খোলাবোনা এলাকার কৃষক ও নৌকার মাঝি পিয়ারুল ইসলাম নৌকাডুবির পর সাতজনকে উদ্ধার করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ওই নৌকা ছোট ছিল। তিনি তাঁদের নিষেধ করতে করতেই তাঁরা নৌকা ছেড়ে দেন। কিছুক্ষণ পরই তা ডুবে যায়। তাঁর হাতেই তাঁর নিজের নৌকার হাল ছিল। তিনি নৌকার ইঞ্জিন চালু করে সেখানে গিয়ে সাতজনকে উদ্ধার করেছেন।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ৮টা) ডুবে যাওয়া নৌকাটিও উদ্ধার করা যায়নি। তাঁদের অভিযান কিছুক্ষণের মধ্যে শেষ হবে। শনিবার ভোরে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।

বার্তা কক্ষ,২৫ সেপেটম্বর ২০২০

Share