পুরোদমে চলছে পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজ। ইতোমধ্যে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের উপর সুপার স্ট্রাকচার বসানোর মাধ্যমেই দৃশ্যমান হয়েছে পদ্মাসেতু।
২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
বর্তমানে পদ্মা সেতু প্রকল্পের জাজিরা প্রান্তে চলছে ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের উপর সুপার স্ট্রাকচার বসাতে পিলারকে উপযোগী করে তোলার কাজ। ইতোমধ্যে পদ্মাসেতুর ৩৯ নম্বর পিলারের প্রথম ধাপের ঢালাই শেষ হয়েছে। ৪০ নম্বর পিলারের পাইল ক্যাপ বসানো শেষ হয়েছে। মূলসেতুর ৫৫.০৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) দিনগত রাত ১টার দিকে পদ্মাসেতুর ৩৯ নম্বর পিলারের প্রথম ধাপের ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে পদ্মাসেতু প্রকৌশলীসূত্র।
পদ্মাসেতুর ৩৯ নম্বর পিলারের প্রথম ধাপের ঢালাই শেষপদ্মাসেতু প্রকল্পের প্রকৌশলীসূত্র বাংলানিউজকে জানায়, ৪০ নম্বর পিলারের পাইল ক্যাপ বসানো শেষ হয়েছে। ৩৯ নম্বর পিলারের কংক্রিট ঢালাই কাজ শুরু হয়েছে। ৩৯ নম্বর পিলারে এখন ৬.৫ মিটার উচ্চতায় কংক্রিটিং হচ্ছে। তিন ধাপে হবে এই কংক্রিটিংয়ের কাজ, বর্তমানে প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়েছে। আরো দুইটি ধাপ শেষ হলে এই পিলারের কাজ শেষ। তখন সুপার স্ট্রাকচার বসানোর জন্য পিলারটি উপযোগী হবে।
এছাড়া, ৩৯ নম্বর পিলারে কংক্রিট ঢালাইয়ের আগে ২ ধাপে পাইল ক্যাপ কংক্রিটিং করা হয়েছে, শেষ ধাপের কংক্রিটিংয়ের আগে পিয়ার কলামের রড ঢোকানো হয়েছে। এরপর বাইন্ডার রড দিয়ে বেঁধে উপযোগী করে তোলা হয়। এসব কাজে বিশেষজ্ঞ প্যানেল নিখুঁতভাবে যাচাই বাছাই করে পরামর্শ এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাইন্ডার রড সেট আপের শেষে সাটার সেটআপ করা হয়। এর আগে সাটারের ভেতরে রিলিজিং এজেন্ট লাগানো হয়। আনুষঙ্গিক কিছু ফরমভাইব্রেটর মেশিন সেট করা হয় তার সঙ্গে। ৪০ নং পিলারের পাইল ক্যাপ বসানো শেষ হয়েছে। এখন পিয়ার কলাম ইন্সুলেশনের কাজ চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলেন নভেম্বরপদ্মাসেতুর ৩৯ নম্বর পিলারের প্রথম ধাপের ঢালাই শেষ মাসের প্রথম দিকেই পিয়ার কলাম কংক্রিটের কাজ শুরু হবে।
পদ্মাসেতুর ৩৯ নম্বর পিলারের প্রথম ধাপের ঢালাই শেষআরোও জানা যায়, পাইল ক্যাপে দুইটি ধাপে (দেড় মিটার, চার মিটার উচ্চতায়) ঢালাই করা হয়। তারপর পিয়ার কলামে তিনটি ধাপে ঢালাই হয়। পিলারগুলোর রিবারকেজ (রডেরখাঁচা) বসানো চলছে।
পিলারগুলোর ৪০-৫০ শতাংশ রড বাঁধাই শেষ। প্রথম অংশে ৬.২ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত রডের খাঁচা বাঁধার পর সাটারিং করে ঢালাই করা হবে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর শরিয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টে পদ্মসেতুর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলার দু’টিতে প্রথম স্প্যান বসানো ঘুড়ে দেখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পদ্মাসেতু প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ৪ নভেম্বর প্রকল্প এলাকায় আসবেন।