সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ পদত্যাগ করছেন। আর এটা আগামী সপ্তাহেই।
সালমান তার ক্ষমতা ছেলে ক্রাউন ৩২ বছর বয়সী প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের হাতে তুলে দেবেন। সৌদি রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে ব্রিটেনের ডেইলি মেইল।
গতকালের এ খবরে বলা হয়েছে, দেশটিতে শুরু হয়েছে দুর্নীতিবিরোধী ব্যাপক অভিযানে। এতে অন্তত ৪০ জন রাজপুত্র ও কয়েকজন মন্ত্রী গ্রেফতার হয়েছেন। অভিযান শুরু করেছেন মূলত ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমান।
এ অভিযানকে সফল মনে করেই বাদশা পদত্যাগ করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পদত্যাগের পর বাদশাহ সালমানের ভূমিকা হবে অনেকটা ইংল্যান্ডের রানীর মতো। অর্থাৎ তিনি শুধু আলঙ্করিকভাবে রাষ্ট্রের প্রধান থাকবেন। তিনি শুধু ‘পবিত্র স্থানগুলোর তত্ত্বাবধায়ক’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, সৌদি রাজা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের বয়স এখন ৮১ বছর। ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান সাম্প্রতিক সময়ের এক আলোচিত নাম। চলতি মাসের শুরুতে তিনি দুর্নীতিবিরোধী ওই অভিযান শুরু করেন। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে নেতৃত্ব দিতেও তিনি মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানকে কোণঠাসা করতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন।
বিন সালমান ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। গত জুনে ক্রাউন প্রিন্স নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে অনেকটা ‘বেপরোয়া’ হয়ে ওঠেন তিনি। এ পর্যায়ে তিনি ২০৩০ সালকে নির্দেশ করে সৌদি আরবের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জন্য ব্যাপক পদক্ষেপ ঘোষণা করেন।
তেলনির্ভরতা কাটিয়ে পদ্ধতিগত দুর্নীতি থেকে মুক্তি এবং ধর্মীয় কট্টর পন্থা থেকে বেরিয়ে একটি ‘মধ্যপন্থি’ সমাজে দেশকে উত্তরণের প্রতিজ্ঞাও করেন তিনি।
কর্মক্ষেত্রে আরও অধিক হারে নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টিতেও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেন। সম্প্রতি নারীদের গাড়ি চালানো, তাদেরকে স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখার মতো সুযোগও করে দিয়েছেন তিনি।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ১০ : ৩০ এএম, ১৮ নভেম্বর, ২০১৭ শনিবার
এইউ