সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম রয়েছে। যদিও এ নিয়ম ভঙ্গ করতে দেখা গেছে চাঁদপুর পৌর ভূমি অফিস কর্তৃপক্ষকে। অফিস প্রাঙ্গণে সন্ধ্যারপর উড়তে দেখা গেছে জাতীয় পতাকা। এ ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চলাচলকারী স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ৬টায় সরজমিনে চাঁদপুর পৌর ভূমি অফিসে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
স্থানীয়রা বলেন, ৩০ লাখ শহীদ ও ৩ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা পেয়েছি। এই পতাকার অবমাননা মেনে নেওয়া যায় না। জাতীয় পতাকা একটি দেশের স্বাধীনতার প্রতীক। এই পতাকার যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। চাঁদপুর পৌর ভূমি অফিস প্রঙ্গনে প্রায় সময় রাতে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা যায়। অফিস টাইমের পর পতাকা উত্তোলন বিষয়টি গুরুতর অপরাধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
তারা আরও বলেন, জাতীয় পতাকার অবমাননার করার অর্থ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা। স্বাধীন বাংলাদেশকে অস্বীকার করা। সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকার সম্মান নষ্ট হয়। তাহলে তাদের কাছ থেকে নতুন প্রজন্ম কী শিখবে? প্রায় সময়ই পৌর ভূমি অফিসে সন্ধ্যার পর জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা যায়।
চাঁদপুর পৌর ভূমি অফিস সহাকারী ভূমি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভূমি কর্মকর্তা লতিফ স্যার ট্রেনিং এ চট্টগ্রাম গেছেন। পতাকা নামাতে মনে নেই। এখনি নামানো হবে।
পরে অফিসের ঝাড়ুদার শামিম তাড়াতাড়ি বাহিরে গিয়ে জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলে।
চাঁদপুর পৌর ভূমি কর্মকর্তা লতিফ মিয়া গাজীর ব্যবহ্নত নম্বারে ফোন করা হলে রিসিভ করা হয় নি।
সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট