পণ্যে রপ্তানিমূল্যের ওপর উৎসে কর কমিয়ে অর্থবিল পাস

তৈরি পোশাকসহ সব ধরনের পণ্যে রপ্তানিমূল্যের ওপর উৎসে কর প্রস্তাব ১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ করাসহ বেশ কিছু সংশোধনী এনে অর্থবিল-২০১৬ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।

একই সঙ্গে তথ্য-প্রযুক্তি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট পুরোপুরি অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

বুধবার (২৯ জুন) ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনার ওপর প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বক্তব্যের আগে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ বক্তব্য দেন।

পরে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা তার বক্তৃতায় রপ্তানির  উৎসে করসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব সংশোধনের জন্য অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।

সমাপনী বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি প্রস্তাব করেছেন। তার এই প্রস্তাবকে আমি অনুশাসন মনে করি, কারণ আমি তার হয়েই কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু বলেছেন, তার সব প্রস্তাবই গ্রহণ হয়ে গেছে।’

পরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ‘সরকারের আর্থিক প্রস্তাবাবলি কার্যকরণ এবং কতিপয় আইন সংশোধনে আনীত অর্থবিল-২০১৬’ সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সরকারি দলের গোলাম দস্তগীর গাজী, হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার, মো. শাহাবুদ্দিন, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, ফখরুল ইমাম, মো. নুরুল ইসলাম ওমর, নুরুল ইসলাম মিলন, বেগম নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী, মো. মামুনুর রশীদ স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী বিলের ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনীর প্রস্তাব আনেন। জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন ও শহীদুজ্জামান সরকার, সরকারি দলের গোলাম দস্তগীর গাজী ও মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর ১৮টি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়। বাকি সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) পাস হবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট। আগামী শুক্রবার (১ জুলাই) নতুন অর্থবছরের শুরুতে এই বাজেট কার্যকর হবে।

গত ২ জুন নতুন অর্থবছরের জন্য ৩ লাখ ৪০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন মুহিত। বাজেট প্রস্তাবনায় পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ওই হারে উৎসে করারোপ হলে অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিজিএমইএসহ এ খাতের সব সংগঠনের নেতারা।

প্রতি বছরেই বাজেট উপস্থাপনের পর সংসদ সদস্য এবং সংশ্লিষ্টদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে পাসের সময় কিছু পরিবর্তন আসে।(বাংলামেইল)

Share