বেসরকারি সংস্থা গণসাক্ষরতা অভিযানের এক গবেষণা জরিপে বলা হয়েছে, দেশে এখন ১১ বছরের বেশি বয়সীদের সাক্ষরতার হার ৫১ দশমিক ৩ শতাংশ। পঞ্চম শ্রেণি সম্পন্ন করা ১১ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সাক্ষরতার হার ৬৭ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ ৩২ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ পঞ্চম শ্রেণি শেষ করেও সাক্ষরতা অর্জন করতে পারছে না।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে এডুকেশন ওয়াচ প্রতিবেদন-২০১৬ নামে এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাক্ষরতার অগ্রগতির হার বছরে মাত্র শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। এই হারে চলতে থাকলে বাংলাদেশ সাক্ষরতা দক্ষতার প্রাথমিক স্তরে পৌঁছাতেই আরও ৪৪ বছর লেগে যাবে। আর অগ্রসর পর্যায়ে উন্নীত হতে লাগবে ৭৮ বছর।
দেশের ২৭০টি গ্রাম বা মহল্লা থেকে ৩ হাজার ৫১০টি খানায় জরিপ কাজ পরিচালনা করা হয়। এসব খানার ১১ বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সী ১১ হাজার ২৮০ জনের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়। পড়া, লেখা ও গাণিতিক দক্ষতা এবং এই দক্ষতাগুলোর প্রয়োগ কতটুকু হচ্ছে, সেটা জানা হয়েছে এই জরিপে।
সাক্ষরতার হার নিয়ে কয়েক বছর ধরে বিতর্কের মধ্যেই এই তথ্য দিল বেসরকারি সংস্থাটি। জরিপের তথ্য তুলে ধরেন এডুকেশন ওয়াচের প্রধান গবেষক সমীর রঞ্জন নাথ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন মানুষের মধ্যে ২৬ শতাংশ উচ্চতর স্তরের সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন ও ২৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রারম্ভিক স্তরের সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, তিনি যদি আর দুই বছর প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী থাকতে পারেন, তাহলে দেশের সব নিরক্ষর মানুষের নাম তুলে আনবেন।
গণসাক্ষরতা অভিযানের চেয়ারপারসন কাজী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী, ভাইস চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি মারিও রনকনি, ইউনেসকো-বাংলাদেশ অফিসের শিক্ষা কর্মসূচির বিশেষজ্ঞ সুন লি প্রমুখ। (প্রথম আলো)
নিউজ ডেস্ক ।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ০৯ : ০০ এএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ মঙ্গলবার
এইউ