ন্যূনতম গ্রাজুয়েট ব্যক্তি ছাড়া দেশের কোনো ফাজিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হতে পারবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রথমে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে স্নাতক ডিগ্রি ধারী তিনজন ব্যক্তির নাম পাঠাবেন। তিনজনের মধ্য থেকে ভিসি একজনকে সভাপতি পদে মনোনীত করবেন। তবে ডিও লেটারের মাধ্যমে কাউকে সভাপতি করা হলে সেটা বাতিল বলে গণ্য হবে।
একইসঙ্গে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার কালিশ পুনাইল হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসার সভাপতি পদে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটারধারী মো. বেলাল হোসাইন বাবলুকে মনোনয়ন দেওয়ায় তার সভাপতি পদ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রায় দিয়েছেন।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কালিশ পুনাইল হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসার এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আরিফুল হকের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়।
আদালতে রিট আবেদনকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির, অ্যাডভোকেট মুনতাসীর শাহীন ও অ্যাডভোকেট মো. আল-আমিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর-উস সাদিক।
আজ রায়ের পর অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৮ সালের ৮ মার্চ বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার কালিশ পুনাইল হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসার সভাপতি পদে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটারধারী মো. বেলাল হোসাইন বাবলুর নাম সুপারিশ করে মাদরাসার অধ্যক্ষ ভিসির কাছে সুপারিশ পাঠান। এর ভিত্তিতে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় বাবলুকে সভাপতি হিসেবে মনোনীত করে। পরে বেলাল হোসাইন বাবুলকে সভাপতি পদে মনোয়ন দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন ওই মাদরাসার অভিভাবক সদস্য আরিফুল ইসলাম। ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করেন। এই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত রায় দিয়েছেন।
চাঁদপুর টাইমস রিপোট
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur