চাঁদপুর

চাঁদপুর হানারচরে ইলিশ জেলে কার্ডের চাল মেম্বারের ঘরে

চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নে জেলে কার্ডের চাল পাচ্ছেন ওই ইউনিয়নের ২ নং ইউপি সদস্য আবুল খায়ের। তার নিজের একই নামে দুটি জেলে কার্ড দিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে জেলে কার্ডের চাল গ্রহন করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া ২ নং ওয়ার্ডের কয়েক জনকে জেলে কার্ড করে দেয়ার নাম করে অনেকের কাছে দুই হতে তিন হাজার টাকা করে নেয়ার এবং টিউবওয়েল বসানোর নামে এক বৃদ্ধর কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা আত্মসাত করারও অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে জেলে কার্ডের চাল গ্রহণ করার প্রতিবাদে হানারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ সাত্তার রাঢ়ীর বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার ছড়াচ্ছে ইউপি সদস্য আবুল খায়ের এমনি অভিযোগ করলেন চেয়ারম্যান নিজেই।

এ নিয়ে শনিবার (২০ এপ্রিল)দুপুরে চেয়ারম্যান সাত্তার রাঢ়ী স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অন্যান্য ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদে এক মতবিনিয় সভা করেন।

এ সময় সাত্তার রাঢ়ী বলেন, আমার ইউনিয়নে সর্বমোট ২৩শ’ ৮৭ জেলে রয়েছে। এসব জেলে কার্ডের চাল দিতে গিয়ে প্রায় ২/৩ দিন সময় লাগে। আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নতুন করে আরো ৬শ’ কার্ড দেওয়া হয়েছে। আমার দায়িত্ব হলো ন্যায্যভাবে যাতে জেলেরা চাল পায়, সেদিকে খেয়াল রাখা। আমি কখনো কাউকে কোন প্রকার চাল কম দেইনি, কোন অনিয়ম করিনি। তারপরেও হয়তো চাল দিতে গেলে কোন না কোন ভুল ত্রুটি হতে পারে।

তিনি বলেন, চাল বিতরণের সময় সব ইউপি সদস্যদের অবগতি করে এবং ট্যাগ অফিসারের অনুমতি ও উপস্থিতিতে চাল বিতরণ করা হয়। এবার চাল দেয়ার সময় দেখি ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার আবুল খায়ের একই নামে দুটি জেলে কার্ড করিয়েছেন এবং ৭ নং ওয়ার্ডেও একই ভাবে একই ব্যাক্তির নামে দুটি জেলে কার্ড রয়েছে। সে বিষয়টি আমার চোখে পড়ায় আমি তাদের চাল দেয়া স্থগিত করি।

তখন ইউপি সদস্য আবুল খায়ের আমার বিরুদ্ধে মানুষের কাছে নানা দুর্নাম ছড়াচ্ছে। আমি কখনো কোন জেলেকে ওজনে চাল কম দেই কিনা সেটা আমার ইউনিয়নের জেলেদের কাছে জিজ্ঞেস করলেই আপনারা তার প্রমাণ পাবেন।

মতবিনিময়কালে উপস্থিত দু,জন ব্যক্তির কাছে ইউপি সদস্য আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে জেলে কার্ড বাবদ, এবং টিউবওয়েল বাবদ টাকা আত্মসাত করার দুটি অভিযোগ পাওয়া যায়।

এসময় ইউপি সচিব মোহাম্মদ কুদ্দুস আখন্দ রোকন ও ট্যাগ অফিসার সুধীর পর্বন চন্দ্রসহ ইউপি সদস্য ও স্থানীয় গন্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য আবুল খায়ের বলেন,‘আমি একসময় জেলে কাজ করেছি। আমিতো আমার কার্ডের চাল গ্রহণ করবোই।

জেলে কার্ড করে দেয়া এবং টিউবওয়েলে বসানো বাবদ ২ হাজার এবং বৃদ্ধের কাছে ১৫ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়গুলো এড়িয়ে না।

এ ইউপি মেম্বার উল্টো চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান চাল নিয়ে অনেক অনিয়ম করেন। তিনি দোকানে চাল বিক্রি করেন, চাল নিয়ে ধরাও খেয়েছেন। চেয়ারম্যান যেসব জেলেদের চাল দেয়নি তারা বাদী হয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করবে।

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি
২০ এপ্রিল ২০১৯

Share