মা ইলিশ রক্ষা প্রজনন মৌসুমে পুরান বাজারের লিটন গাজীর মাধ্যমে প্রতিদিন জেলেদের কাছ থেকে নৌকা প্রতি পাঁচ হাজার টাকার বিনিময় রাতের আধারে অসাধু জেলেরা অবাধে মা ইলিশ নিধন করছে। আর জেলে নৌকার তত্বাবধানের লিডার লিটন গাজী সেই টাকা বিভিন্ন ফাঁড়ি ও বিভিন্ন কর্মকর্তাকে বিকাশে টাকা পাঠিয়ে থাকেন।
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশের প্রধান প্রজণন মৌসুম চলমান রয়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ৪ নভেম্বর মা ইলিশ সংরক্ষণ কর্মসূচির আওতায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় সকল প্রকার মাছ আহরণ, পরিবহন ও বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।কিন্তু কিছু অসাধু জেলে এই অভিযানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাছ আহরণ করে চলেছে। এর সাথে জড়িত রয়েছে নৌ-পুলিশের অসাধু কিছু কর্মকর্তা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় পুরানবাজার রনাগোয়াল এলাকার মৃত.সুলতান গাজীর ছেলে লিটন গাজীর মাধ্যমে প্রতিদিন জেলেদের কাছ থেকে নৌকা প্রতি পাঁচ হাজার টাকার বিনিময় রাতের আধারে অসাধু জেলেরা অবাধে মা ইলিশ নিধন করছে।
জানা যায় লিটন গাজী পুরান বাজার হরিসভা থেকে হরিনা পর্যন্ত প্রায় শতাধিক জেলে নৌকা থেকে প্রতিদিন নিয়মিত পাঁচ হাজার টাকা করে উত্তোলন করে। আর এই কয়েক লাখ টাকা লিটন গাজী বিকাশের মাধ্যমে সখিপুর ঈদগা বাজার হরিনা ও আলুর বাজার ফাঁড়ির অসাধু কর্মকর্তাদের কে পাঠিয়ে দেয়। আর এই সুবাধে জেলেরা রাতভর মা ইলিশ নিধনের উৎসবে মেতে ওঠে। লিটন গাজী প্রতিদিন উত্তোলনকৃত টাকা থেকে প্রায় লাখ খানেক টাকা কমিশন পেয়ে থাকে।
এছাড়া লিটন গাজীর নিজের দু’টি জেলে নৌকা নিয়মিত নদীতে মাছ শিকার করে আসছে।লিটন গাজী তার ব্যক্তিগত দুইটি নাম্বার (০১৩০৭৮৩৯৮১৬, ০১৮১৩৮৪১৬৭৬) সহ আরো বেশ কয়েকটি নাম্বার থেকে বিকাশের মাধ্যমে অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে টাকার লেনদেন করে থাকেন।
এ বিষয়ে লিটন গাজীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, আমি এসব করিনা। আমার নিজের দুইটি নৌকা এবং ভাই বেরাদারের সহ ৮/১০ টি নৌকা আমার রয়েছে।
নিষিদ্ধ সময়ে কেনো এভাবে আপনারা নদীতে নৌকা নিয়ে জাল ফেলে মাছ নিধন করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে লিটন গাজী বলেন, ভাই নিষিদ্ধ সময়ে অনেকেই চুরি করে মাছ ধরে, সে সুবাধে আমরাও মাছ ধরে থাকি। তবে আপনি যে বিভিন্ন নৌকা থেকে টাকা উত্তোলন এবং বিভিন্ন জনকে দেয়ার কথা বলছেন তা মিথ্যা। আমি এসব করিনা।
মা ইলিশ রক্ষা প্রজনন মৌসুমে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে লিটন গাজী এভাবে মা ইলিশ নিধন উৎসবে মেতে থাকার বিষয়ে তার উল্লেখিত দুটি নম্বরটি এবং তার ব্যবহৃত নম্বরগুলো তদন্ত করলেই প্রকৃত সত্যটা উন্মেচিত হবে।তাই সচেতন মহলের দাবি লিটন গাজীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলেই মা ইলিশ রক্ষা সার্থক হবে।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি,২৬ অক্টোবর ২০২০