সারাদেশ

শ্রমিকদের কর্মবিরতি : সবধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ এর উদ্যোগে ১০ দফা আদায়ে সোমবার (২২ আগস্ট) রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে অয়েল ট্যাঙ্কার (তেলের জাহাজ) ব্যতীত সকল নৌযান শ্রমিকরা কর্মবিরতীর ডাক দিয়েছেন। এ সময় যাত্রীবাহী লঞ্চসহ কোনো প্রকার নৌযান চলাচল করবে না।

যেসব দাবিতে নৌযান শ্রমিকরা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেগুলো-
* নৌ শ্রমিকদের সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা মজুরী নির্ধারণ
* পাইপ লাইনের মাধ্যমে তেল সরবরাহ বন্ধ করা
* নৌ পথে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ করা,
* নৌ পথে অবৈধ পার্কিং বন্ধ কর।
* নদী পথকে স্বাভাবিক রাখতে ড্রেজিং বাস্তবায়ন।
* নৌ আদালতের হয়রানি বন্ধ করা।
* প্রত্যেক নদী বন্দরে নৌ আদালত স্থাপন করা।
* নৌ শ্রমিকদের বোনাস চাকুরীকালীন চিকিৎসা ভাতা নিশ্চিত করা।

এছাড়া অতীতে মালিক পক্ষ শ্রমিকদের সকল দাবিদাবা মেনে নিবে বললেও তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় এ কর্মবিরতীর আহ্বান করা হয়েছে।

রোববার (২১ আগস্ট) নৌ মন্ত্রণালয়ে নৌমন্ত্রী শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে মালিক শ্রমিকদের মধ্যে এসব দাবি নিয়ে আলোচনা হয়।

সেখানে অয়েল ট্যাঙ্কার মালিকগণ শ্রমিকদের দাবি মেনে নিলেও অন্যান্য পরিবহণের মালিকগণ তা মেনে না নেওয়ায় এ ধর্মঘোট এর আহ্বায়ন করা হয়েছে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুল আলম।

বাংলাদেশ জাহাজ শ্রমিক ফেডারেশন ও বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি আলহাজ্ব শুক্কুর মাহমুদ, জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক মো. কবির মাস্টার, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মাচরী ইউনিয়নের ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।

এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলার বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক সংবাদ পরিষদের আহ্বায়ক মোঃ বিপ্লব সরকার জানান, ‘শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা কর্মবিরতীর আহ্বান করেছি। যদি মালিকপক্ষ ও সরকারপক্ষ শ্রমিকদের এ ১০ দফা দাবি মেনে নেন তাহলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হবে। তা না হলে শ্রমিকদের এ কর্মবিরতি চলমান থাকবে।’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৩:৩০ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ

Share