প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যাত্রীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে নৌপথের উন্নয়নে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নিরাপদ নৌযান তৈরিতে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে নৌযানের নির্ভুল নকশা তৈরির পাশাপাশি এ সকল নৌযানের চলাচলকে আরও নিরাপদ করতে আধুনিক ও সময়োপযোগী পন্টুন ও জেটি স্থাপন করেছি।
আজ ৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হচ্ছে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০১৮। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নৌ শিল্পে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া, যাত্রা হবে নিরাপদ।’ দিবসটি উপলক্ষে দেয়া এক বাণিতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশে ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ’ পালন করা হচ্ছে জেনে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।
নিরাপদ নৌ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা আরও তৎপর হবে প্রত্যাশা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি নিরাপদ নৌ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন।
এ জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকে প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা প্রদানের উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, নৌ দুর্ঘটনা হ্রাসে নদীবন্দরসমূহে নিরাপত্তা জোরদার, ত্রুটিপূর্ণ নৌযান শনাক্তকরণ, নাবিকদের প্রশিক্ষণ আধুনিকীকরণ, নৌ নিরাপত্তা বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম ও আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণসহ নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর ফলে নৌযানে যাত্রী সাধারণের চলাচল আরও নিরাপদ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শত শত নদ-নদী ও বঙ্গোপসাগর দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নদীপথে মালামাল পরিবহন সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব, নিরাপদ ও আরামদায়ক। নদীপথেই দেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের সিংহভাগ পরিবাহিত হয়।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নৌ সেক্টরের গুরুত্ব অনুধাবন করে উন্নয়নের যে ধারা শুরু করেছিলেন, তা অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার নৌ-পরিবহনের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রেখেছে।
সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব ‘নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০১৮’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।