বিশেষ সংবাদ

নোয়াখালীতে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে অর্থ ও স্বর্ণলংকার নিয়ে প্রবাসীর সুন্দরী স্ত্রী উধাও

সামাজিক ভাবে বিয়ে, অন্তস্বত্বা, এরপর নানা কৌশলে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা আদায় অতঃপর স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে নিজের ভগ্নিপতির সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন এক সুন্দরী গৃহবধু।

প্রবাসে থাকা স্বামীকে তালাক দিয়ে টাকার বিনিময়ে বিয়ে করেন অন্য একজনকে। ঘটনা ওখানেই শেষ হতে পারতো। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ভেবে প্রবাসী যুবক অর্থ-কড়ি সম্মান সব হারিয়েও নিশ্চুপ ছিলেন। কিন্তু বাধ সাধে আইনুর আক্তার নামের ঐ নারী সহ তার পরিবারের লোভ। আগেই যেহেতু বিভিন্ন কৌশলে টাকা আদায় করা গেছে, সেহেতু আরও চাপ দিলে টাকা বেরুবে এমনটাই পরিকল্পনা তাদের, সেই লক্ষেই বর্তমানে অসহায় পরিবারটিকে চাপের মুখে রাখতে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ অসহায় পরিবারটির ।

ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর জেলার সুবর্নচর উপজেলার ২নং পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের চর মজিদ গ্রামে। ভূক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে জানতে চাইলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য।

মামলা, ঘটনা ও এলাকাসির কাছ থেকে জানা যায় উক্ত গ্রামের বৃদ্ধ দিনমজুর জালাল আহম্মদ (৮০) এর ছেলে মো: দেলোয়ার হোসেন (২৯) সংসারে অভাব মোচন করতে একটু সুখে থাকার আশায় ধার কর্য করে ২০০৭ সালে পাড়ি জমান মালদ্বীপে । দীর্ঘ ৬ বৎসর থাকার পর ২০১৩ সালে নিজ গ্রামে এসে একই বছরের ২৫ জানুয়ারীতে সামাজিক ভাবে বিয়ে করেন একই গ্রামের পর্শ্ববর্তি প্রতিবেশী সাহাব উদ্দীনের প্রথম স্ত্রীর সেজো কন্যা আইনুর আক্তার কে।

বিয়ের ৩মাস পর আইনুর আক্তার আন্তস্বত্বা হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে সবার মাজে নেমে আসে আনন্দের ঝড় এরই মধ্যে দেলোয়ারের মালদ্বীপ যাওয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয় এবং কয়দিন পর সে আইনুরকে তার বাড়িতে রেখে বিদেশ চলে যান।

যাওয়ার মাস পার হয়ে যেতে না যেতেই দেলোয়ারের পরিবারের লোকজন আইনুর কে আনতে তার বাড়ীতে যান কিন্তুু আইনুরের বড় বোন জামাই আজিমের ইন্ধনে সে শুশুর বাড়ীতে যেতে অস্বীকৃতি জানায়।

আইনুর বেগম সংসারে খরচ, জমি ক্রয়, অনাগত সন্তানের অযুহাত দেখিয়ে তারই বড় ভাই আবুল হাশেমের মাধ্যমে বিকাশ, ব্রাক ব্যাংকের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে মোট ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা আদায় করেন। এরই মধ্যে দেলোয়ার বিশ্বস্ত সুত্রে জানতে পারেন আইনুরের বড় ভাই হাশেম ও তার বড় বোন কোহিনুরের স্বামী আজিম তাকে ফুসলিয়ে অনাগত সন্তানকে নস্ট করে ফেলেছে ।

ঘটনাটি জানাজানি হলে শুরু হয় উভয় পরিবারের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ। এক পর্যায়ে ঘটনা বেগতিক দেখে একদিন আইনুর আক্তার টাকা ও বিয়েতে দেলোয়ারে দেয়া ৩ ভরি স্বর্ণ সহ একই গ্রামের জাফর উল্যাহর ছেলে রাকিবুর রহমান, পশ্চিম চরজুবলী গ্রামের আব্দুর রবের পুত্র আবুল কাশেমের সহোযোগিতায় বোন জামাই আজিমের সাথে উধাও হয়ে যায়।

বেশ কিছুদিন লুকিয়ে থাকার পর হঠাৎ করে গত ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর আইনুর আক্তার মিথ্যা অযুহাত দেখিয়ে উক্ত অভিযুক্তরা সহ তার বড় ভাই আবু কালামকে সাথে নিয়ে দেলোয়ারকে তালাক প্রদান করেন। এই খবর পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে দেলোয়ারের নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন ( মামলা নং ১১৯/১৩ ) ।

কিছুদিন না যেতেই আইনুর আক্তার কে একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চেয়ারম্যান ঘাট থেকে চরচেঙ্গা যাতায়াতকারী একটি সি-ট্রাকের কর্মকর্তা মো নবীর মাধ্যমে আইনুর আক্তারের দূর সম্পর্কের তালতো ভাইয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে দেন।

বর্তমানে আইনুর আক্তার হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের চরচেঙা বাজার এলাকার মানিক মিয়ার পুত্র রহমত উল্যার সাথে সংসারে জীবন কাটাচ্ছেন তাদের ঘরে একটি সন্তানও রয়েছে। এত কিছু করেও ক্ষান্ত হয়নি আইনুর আক্তার।

মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে যাচ্ছেন দেলোয়ার সহ তার পরিবারকে, একই সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে রাকিব, আজিম, হাসেম সহ অজ্ঞাত কয়েক যুবক নগদ অর্থ চাঁদাদাবী করে আসছে পরবারটির কাছে।

অন্যথায় দেশে আসলে হত্যা ও গুম করার হুমকি অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান ভুক্তভূগি দেলোয়ার ও তার পরিবার।

এবিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন একালাবাসী জানান , ‘সাহাব উদ্দীন স্বভাব চরিত্র ভালো না বলে ২টি বিয়ে করেছে। তার ছোট সংসারে রয়েছে দুই মেয়ে তারাও নানা অসামাজিক কার্যকলাপের কারনে আগের স্বামীরা তালাক দিয়ে দেন এবং সবাই দ্বিতীয় বিয়ে করে বর্তমানে চট্রগ্রাম এবং কুমিল্লায় গার্মেন্টসে চাকুরী করছেন।

এসব বিষয়ে জানতে আইনুরের বাড়ীতে গেলে তার বড় ভাই আবু কালাম ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি এবং এসব বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রতিনিধিকে প্রকাশ্য হুমকি দেন।

একই বিষয়ে আইনুরের বড় বোন শাহিনুর আক্তারের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সম্পূর্ণ ঘটনাটির সত্যতা শিকার করেন। এবং বাবা সাহাব উদ্দীন ভাই আবু কালাম এবং বোন জামাই আজিমের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান ।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাশেম, আজিম, রাকিব সহ অজ্ঞাত কিছু ব্যাক্তি বিভিন্ন নাম্বার থেকে এই প্রতিনিধিকে তার ব্যাবহারিত 01820524655 নাম্বারে গাল মন্ধ এবং হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছেন। উপরোক্ত ঘটনায় প্রবাসী দেলোয়ার ও তার পরিবার স্থানীয় ২নং পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।

প্রসঙ্গত, ৪লাখ ৮০ হাজার টাকা ৩ভরি স্বর্ণ এবং বিয়ের খরচ বাবদ দেলোয়ারের ১০ লাখ টাকা ক্ষতির শিকার হয়ে বর্তমানে মালদ্বীপ খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন ঐ যুবক । এদিকে ধার কর্য করা টাকা পরিশোধ করতে করতে দেলোয়ারের বৃদ্ধ বাবা টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন ।

নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১০:৩৯ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০১৬, মঙ্গলবার

এমআরআর  

Share