চাঁদপুরের মতলব-উত্তর উপজেলা প্রশাসন ‘গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের ভূমিকা’ শীর্ষক দিনব্যাপি কর্মশালার আয়োজন করে। বুধবার (৯ নভেম্বর) মতলব-উত্তর উপজেলার রিসোর্স সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগ, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনডিপি) -এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় পরিচালিত বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের সহযোগিতায় কর্মশালাটি আজ কচুয়া উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
মতলব-উত্তর উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাগণ এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শুভাশিষ ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মতলব-উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মতলব-উত্তর থানার সেকে- অফিসার এস.আই মোঃ ইসমাইল হোসেন।
কর্মশালায় মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর নিকোলাস বিশ্বাস।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী মোঃ আমিনুর রহমান এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সগির আহম্মেদ সরকার ও আল কামাল হাসান।
প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, মানুষের বিচারহীনতা দূর করার ক্ষেত্রে গ্রাম আদালত একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তাই, গ্রাম আদালতের বিচারিক-সেবা সবার কাছে পৌঁছাতে হবে। গ্রাম আদালতের সেবা সম্পর্কে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাগণ সাধারণ মানুষের মাঝে জনসচেতনতা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারেন। তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ছোট-খাট বিরোধ স্বচ্ছতার সাথে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। তিনি এই বিচারিক সেবার বার্তা উপজেলার সকল মানুষের কাছে বিশেষ করে দরিদ্র, সুবিধা-বঞ্চিত গ্রামীণ জনগণের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান। আমরা গ্রাম আদালতের সাফল্য তুলে ধরে এর প্রতি মানুষের আস্থা বাড়াতে পারি। সাধারণ মানুষের হয়রানী রোধে বর্তমান সরকার বিচারিক সেবা একেবারে গ্রামে নিয়ে এসেছে।
বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর নিকোলাস বিশ্বাস বলেন, প্রান্তিক এলাকার জনগণ বিশেষ করে দরিদ্র নারী ও অসহায় জনগোষ্ঠী যাতে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে কম সময়ে ও কম খরচে তাদের বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারেন এ জন্য আমাদের সবাইকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে। উল্লেখ্য যে, গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প চাঁদপুর জেলার ৫টি উপজেলায় মোট ৪৪টি ইউনিয়নে কাজ করে। তবে গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ (সংশোধন ২০১৩) অনুযায়ী বাংলাদেশের সকল ইউনিয়নেই গ্রাম আদালত থাকার কথা।
কর্মশালায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ মোঃ জয়নাল আবেদিন, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ রুহুল আমিন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা তারিক মাহমুদ হোসেন, সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হোসেন ও মোঃ মাহফুজ মিয়া, একটি বাড়ি একটি খামারের উপজেলা কোর্ডিনেটর মোঃ জাহাঙ্গির আলম, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস ছাত্তার সহ বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক, আশা, সিএনআরএস, দিশা, উদ্দীপন, ব্যুরো বাংলাদেশ, পিএইচডি, পেইজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, এসএসএস, আপ, প্রিজম বাংলাদেশ -এর উপজেলা কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
৭ নভেম্বর, ২০১৮