জাতীয়

নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা এবার প্রাক-প্রাথমিকে মাতৃভাষায় বই পাবে

২০১৭ শিক্ষাবর্ষে জানুয়ারি থেকে দেশের পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের হাতে মাতৃভাষায় প্রাক্-প্রাথমিক স্তরের বই পৌঁছে দেয়া হবে। এ জন্য ২৪ হাজার ৬ শ’৪১ কপি বই ছাপানো হচ্ছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপু¯তক বোর্ড এ বই ছাপাচ্ছে।

আগামি শিক্ষা বছরে প্রাক-প্রাথমিক স্তরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীর সংখ্যা হবে ২৪ হাজার ৬শ’৪১ জন। অধিদপ্তর ও এনসিটিবির সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ খবর জানা গেছে।

এনসিটিবি সূত্র জানায়, বইগুলো লেখা, সম্পাদনা, চিত্রায়ন প্রভৃতি কাজ শেষ হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতির চিত্রায়ন সহ আনুষঙ্গিক বিষয় দিয়ে বইগুলো সাজানো হয়েছে। কতগুলো বই প্রয়োজন হবে তা’ জানিয়ে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তারা সংখ্যা জানানোর পর ছাপানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

যে পাঁচ ভাষায় বই ছাপানো হচ্ছে সেগুলো হলো চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও ওঁরাও

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, আগামী বছর থেকে দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুরা মাতৃভাষায় পড়বে। প্রথমবার শুধু প্রাক্-

প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় বই দেয়া হবে। পরের বছর (২০১৮ সাল) দেয়া হবে প্রাক্-প্রাথমিক ও প্রথম শ্রেণির বই। এর পরের বছর (২০১৯ সাল) দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও মাতৃভাষায় বই দেয়া হবে। এ সব বই বিনামূল্যে পাবে শিক্ষার্থীরা। এ জন্য অর্থসহায়তা দিচ্ছে ইউনিসেফ।

দেশে সরকারি হিসাবে ৩৭টি এবং বেসরকারি হিসাবে ৪৫টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী থাকলেও চাকমা ও মারমা ছাড়া আর কারও ভাষার নিজস্ব লিপি নেই।

ত্রিপুরা, গারো ও ওঁরাও নৃ-গোষ্ঠী বাংলা ও রোমান হরফে তাদের ভাষার বই পড়তে রাজি হয়েছে। অন্য যে নৃ-গোষ্ঠীগুলোর লিপি নেই, তাদের সংখ্যাও খুব কম। তারা বর্তমানের মতো জাতীয় শিক্ষাক্রমের অধীনেই পড়াশোনা করবে।

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩:০০ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬, রোববার
ডিএইচ

Share