বাংলাদেশে নারায়ণগঞ্জ সাত খুন মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত নূর হোসেনকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের একটি আদালত।
একটু আগেই ওই নির্দেশ জারি করেছেন উত্তর চব্বিশ পরগণার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যজিস্ট্রেট সন্দীপ চক্রবর্তী।
মি. হোসেনের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের যে মামলা চলছিল উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলা আদালতে, সেটি তুলে নিতে চেয়ে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩২১ নম্বর ধারায় আবেদন করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
সরকারী আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন দে আবেদনে বলেছিলেন যে মি. হোসেন বাংলাদেশের একজন দাগী অপরাধী। তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড কর্ণার নোটিশও রয়েছে। তিনি ভারতে বে-আইনিভাবে আশ্রয় নিয়েছিলেন – যে কারণে তাঁর বিরুদ্ধে বিদেশি আইনে মামলা রুজু করা হয়েছিল।
কিন্তু বাংলাদেশ সরকার তাকে সেদেশে বিচারের জন্য ফেরত চেয়েছে, তাই অনুপ্রবেশের মামলা তুলে নিয়ে তাকে নিজের দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
সেই আবেদন গ্রহণ করে নূর হোসেনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ-প্রশাসনকে। এই নির্দেশ কবে কার্যকর করা হবে সেটা এখনও জানা যায় নি।
তবে প্রশাসনের সূত্রগুলি বলছে খুব দ্রুততার সঙ্গেই আদালতের আদেশ কার্যকরা করা হতে পারে।
মি. হোসেনকে পুলিশ পেট্রাপোল সীমান্তে নিয়ে গিয়ে প্রথমে বিএসএফের হাতে তুলে দেবে, তারপরে তারা তাকে বিজিবি-র হাতে তুলে দেবে।
দুই দেশের মধ্যে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরে এই প্রথম কোনও বিচারাধীন বাংলাদেশি নাগরিককে ভারত থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
নূর হোসেন ও তার দুই সঙ্গী গতবছর ১৪ই জুন কলকাতা বিমানবন্দরের কাছে কৈখালি থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
তারপর থেকে তিনি দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারেই বন্দী ছিলেন। তবে তার এক সঙ্গী, খান সুমন, জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরে পালিয়ে যান এবং তার নামে পরোয়ানা জারি হয়েছে (বিবিসি)