ফিলিস্তিনে নিহত ছাড়াল ৬৯ হাজার
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬৯ হাজার ছাড়িয়েছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন। চলমান যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মৃতদেহ বিনিময় কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
আরব নিউজ জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে নতুন করে আরও মৃতদেহ উদ্ধার এবং আগে অজ্ঞাত থাকা মৃতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে নিহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তবে যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় সীমিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
শনিবার ইসরায়েল গাজার হাসপাতালে ১৫ ফিলিস্তিনির মৃতদেহ হস্তান্তর করেছে। এর আগের দিন হামাস এক ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দেয়। মৃতদেহ ফেরত দেয়া ও গ্রহণ করা যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মূল অংশ, যেখানে চুক্তি অনুযায়ী হামাসকে দ্রুততম সময়ে সব জিম্মির মৃতদেহ ফেরত দিতে হবে।
প্রায় এক মাস ধরে চলমান যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচে অসংখ্য মরদেহ চাপা পড়ে রয়েছে। সীমিত সরঞ্জাম, জ্বালানি সংকট ও চলমান অবরোধের মধ্যে উদ্ধারকর্মীরা ধীরে ধীরে মৃতদেহ উদ্ধার করছেন।
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা ৬৯,১৬৯ জন। এর মধ্যে ৩১ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া আরও ২৮৪ জনের নাম সংযুক্ত হয়েছে। এখনও বহু ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।
যুদ্ধবিরতি শুরুর পর গাজায় ২৪১ জন নিহত হয়েছেন। গত তিন দিনে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হওয়া নয়টি মৃতদেহ এবং সাম্প্রতিক হামলায় নিহত একজনসহ মোট ১০টি মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। একই সময়ে আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, পশ্চিম তীরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে। একই দিনে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনি কৃষক, স্বেচ্ছাসেবী, সাংবাদিক ও কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা নতুন মাত্রা পেয়েছে।
৯ নভেম্বর ২০২৫
এজি