নিহত ৯ জঙ্গি আগের হামলাকারীদের সাথে জড়িত

রাজধানীর কল্যাণপুরে সোয়াটের নেতৃত্বাধীন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত ৯ জঙ্গি ও গুলশানে হামলাকারী জঙ্গিরা একই গ্রুপের সদস্য বলে মনে করছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। জঙ্গি আস্তানায় চালানো অভিযান ‘স্টর্ম-টোয়েন্টি সিক্স’ নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে অভিযান ও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার সামগ্রী নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপি কমিশনার।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে ১৩টি স্থানীয়ভাবে তৈরি গ্রেনেড জব্দ করা হয়। আরও জব্দ করা হয় ১৯টি ডেটোনেটর, ৭.৬২ বোর রাইফেল, কিছু ম্যাগজিন, তলোয়ার, ছুরি, হাতুড়ি, চাপাতি, আল্লাহু আকবর লেখা দু’টি কালো পতাকা, গুলি ও বিস্ফোরক।

তিনি বলেন, নিহত জঙ্গিদের বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। এদের পরনে কালো, পাঞ্জাবি ও জিন্সের প্যান্ট ছিল। আর একজন ছাড়া সবার পায়েই কেডস ছিল। সবাই ছিল উচ্চশিক্ষিত।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযানে গেলে তারা ছয় তলা ভবনের পাঁচ তলা থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে, এরপর তাদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিবিনিময় হয় জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, তাদের পোশাক, অস্ত্র ও হামলার ধরন দেখে বোঝা যাচ্ছে, গুলশানের রেস্টুরেন্টে হামলাকারী এবং নিহত এই নয় জঙ্গি একই গ্রুপের সদস্য।

তাদের পরিচয়ের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার জানান, আহত অবস্থায় উদ্ধার একজনের নাম জানা গেছে। তার নাম হাসান। বাকিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

এসময় তিনি সাফ জানিয়ে দেন ঢাকা এমনকি বাংলাদেশের কোথাও জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের জায়গা হবে না।

ভোরে কল্যাণপুরের একটি বাড়িতে ওই অভিযানে ৯ জঙ্গি নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক হয় এক জঙ্গি।

Share