সারাদেশ

‘নিশ্চিত পরাজয় জেনেই সরকার ডিএনসিসি নির্বাচন বানচাল করেছে’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সরকার ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনগুলোতেও তার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় নিশ্চিত পরাজয় জেনেই নানা নাটকীয়তার মাধ্যমে গত ১৭ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন বানচাল করেছে। সরকারের এই আচরণে দেশের সাধারণ মানুষ আগামীর জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংকিত।

সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে শাসন ক্ষমতায় জনমতের প্রতিফলন হওয়া দরকার। বাংলাদেশের ইতিহাস দুর্ভাগ্যের ইতিহাস। ক্ষমতাসীনরা বারবারই ক্ষমতার মসনদ আকড়ে রাখতে জনমত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। জনগণের ভোটার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারও এই কলংকময় ধারা অব্যাহত রেখেছে।

১৯ জানুয়ারি’১৮ শুক্রবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম পূর্ব চত্বরে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি জি. এম. রুহুল আমীন-এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম-এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ‘বেকারত্ব সমস্যা বাংলাদেশের জন্য অভিশাপে পরিণত হয়েছে। লক্ষাধিক বেকার চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে। সরকারের দায়িত্ব ছিল তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা কিন্তু তা না করে সরকারি চাকুরিগুলোতে দলীয় ক্যাডার বাহিনী নিয়োগ দিতে প্রশ্নফাঁসসহ নানা রকম জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে শিক্ষিত যুবকদের স্বপ্ন ভঙ্গ করছে।’

সম্মেলনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর চলমান কমিটি বিলুপ্ত করে ২০১৮ সেশনের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। নবগঠিত কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি শাইখ ফজলুল করীম মারুফ, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ হাছিবুল ইসলাম-এর নাম ঘোষণা করা হয়।

সভাপতির বক্তব্য জি. এম. রুহুল আমীন বলেন, স¤প্রতি সময় প্রশ্নফাঁস অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করছে। এভাবে একের পর এক প্রশ্নফাঁস হলে জাতি মেধাশূন্য হয়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, হাইকোর্টের নির্দেশনার পরও ডাকসুসহ দেশের ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। মেধাবী নেতৃত্ব সৃষ্টি করার জন্য অনতিবিলম্বে ডাকসুসহ ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিন।

কেন্দ্রীয় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল­াহ আল-মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, দারুল মা’আরিফ-এর সহকারী মহাপরিচালক ড. জসিম উদ্দিন নদভী, নায়েবে আমীর শায়খুল হাদিস মাওলানা আবদুল হক আজাদ, নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।

আরো বক্তব্য রাখেন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি কে.এম আতিকুর রহমান, ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আহমাদ আবদুল কাইয়ুম, অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মুহাম্মাদ বরকত উল্লাহ লতিফ, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, মাওলানা নূরুল ইসলাম আল-আমীন, কেন্দ্রীয় সম্মেলন ঘোষণা পাঠ করেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শাইখ ফজলুল করীম মারুফ, জাতীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০:০৩ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার
ডিএইচ

Share