হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার শান্তিপুর জামে মসজিদের জমিতে উৎপাদিত একটি লাউ আজ বুধবার দুপুরে নিলামে তোলা হয়। এক কেজি ওজনের ওই লাউটির নিলামের ডাক দেন পাশের মর্দনপুর গ্রামের কবির মিয়া। লাউটির দাম ৬০০ টাকা পর্যন্ত ওঠে।
এমন সময়ে বাধা দেন শান্তিপুর গ্রামের জালাল মিয়া। তাঁর দাবি, এ নিলাম ডাকবেন তিনি। কবির মিয়া যেহেতু মসজিদের কেউ নন। তিনি নিলাম ডাকার অধিকার রাখেন না। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে শুরু হয়ে যায় দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ। এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৫০ জন। তাঁদের মধ্যে ২৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, লাউ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটাসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে চলে। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশত লোক আহত হন। তাঁদের মধ্যে ২৪ জনকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটজনকে আটক করে। পরে তাঁদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বদ্বীপ কুমার সিংহ উপস্থিত সাক্ষ্য-প্রমাণ এবং আটক ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে সাত দিনের কারাদণ্ড দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বানিয়াচং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাজমুল হক বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা অর্থদণ্ড দিয়ে ছাড়া পান। ২৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেনি।
নিউজ ডেস্ক