চাঁদপুরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও এবার যেন তা নির্মূল হচ্ছে না। উত্তরে শীতের আভা বইতে শুরু করলেও রোগীরা বলছেন,২৫০ শয্যা সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান ভালো হওয়ায়, অন্য জেলায় আক্রান্ত রোগীরাও এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে একজন ডেঙ্গু রোগী যদি অনেক বেশি অসুস্থ বোধ করে এবং থুতুর সাথে রক্ত,কালো পায়খানাসহ বিশেষ লক্ষণ দেখা যায়,তখন তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়ার কথা জানান হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক।
হাসপাতালের তথ্য মতে,নভেম্বর মাসে ৩টি ওয়ার্ডে ৭৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১২ জন। বাকিরা চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
চাঁদপুরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় জানুয়ারি মাসে। চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়,জানুয়ারি থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত পুরুষ,নারী ও শিশু ওয়ার্ডে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য ৩ শ ৪৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তার মধ্যে ৩শ ৩৫ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। সেপ্টেম্বর,অক্টোবর মাসে মশক বাহিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়েছে।
সিনিয়র স্টাফ নার্স মারিয়া আক্তার বলেন,‘ হাসপাতালে আলাদা ডেঙ্গু ইউনিট খোলা হলেও,সীমিত সংখ্যক লোকবল দিয়েই ভর্তিকৃত রোগীদের সুস্থ করে তোলার জন্য আমারা অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পুরুষ ওয়ার্ডেই রোগী বেশি। এ ওয়ার্ডে ৩০টি বেডের বিপরীতে গড়ে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসে ৭০-৮০ জন রোগী,আর ভর্তি হচ্ছে ১০-১৫ জন। অন্যরা সাধারণ চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যান। তবে এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান ভালো হওয়ায় অন্য জেলায় আক্রান্ত রোগীরাও চিকিৎসা নেওয়ার জন্য এ হাসপাতালে ভিড় জমান। ‘
চাঁদপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.এ.কে.এম.মাহবুবুর রহমান বলেন,‘ডেঙ্গু একটি মশা বাহিত রোগ। মশার বংশ বিস্তার রোধে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান চিকিৎসকদের। যদি কোনো রোগীর শ্বাসকষ্ট,অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বল বোধ হয়,কফ বা থুতুর সাথে রক্ত বের হয়,কালো পায়খানা হয। এ ধরনের বিশেষ লক্ষণ দেখা মাত্রই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের।’ তথ্যসূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট
২৫ নভেম্বর ২০২৪
এজি