Home / জাতীয় / রাজনীতি / নির্বাহী আদেশে আজই নিষিদ্ধ হচ্ছে জামায়াত
নির্বাহী

নির্বাহী আদেশে আজই নিষিদ্ধ হচ্ছে জামায়াত

উচ্চ আদালতের নির্দেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে আগেই নিবন্ধন হারিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এবার সরকারের নির্বাহী আদেশে দলটি নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আজই নিষিদ্ধ করা হবে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক অনু বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হবে। অত্যন্ত সতর্কতা ও গোপনীয়তার সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত এ শাখার কর্মকর্তারা সচিবালয়ে এ বিষয়ে কাজ করেন। যদিও এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি কর্মকর্তারা। রাজনৈতিক অনু বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত সচিব টিপু সুলতানের মোবাইল ফোন গভীর রাত পর্যন্ত বন্ধ ছিল। এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমও।

মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্টরা জানান, গত রাতেই এ-সংক্রান্ত নথি তৈরি করা হয়েছে। আজ এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের জন্য নথি পাঠানো হবে। অনুমোদন মিললে আজই আদেশ জারি করা হবে। রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী বিতর্কিত এ রাজনৈতিক দলের।

আইনকানুন দেখেশুনেই জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের প্রস্তাব নথিতে তোলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে– দেশ, জনগণ ও রাষ্ট্রের জন্য তাদের কর্মকাণ্ড ও নৃশংসতা হুমকিস্বরূপ। সাম্প্রতিক সময়ে তারা ব্যাপকভাবে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে এবং জঙ্গিবাদী কায়দায় রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জানমালের ক্ষতিসাধন ও বিনাশে লিপ্ত হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা, সহিংসতা ও রাষ্ট্র এবং জনগণের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে ওঠা যে কোনো ধরনের সংগঠন নিষিদ্ধ করার অধিকার রাখে সরকার। আইনি সে ক্ষমতা রয়েছে।

গতকাল বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকারের সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এক বৈঠকে অংশ নেন। এতে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করা এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, র‌্যাবের মহাপরিচালকসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় বিরোধিতাকারী দল হিসেবে জামায়াত ও তাদের সহযোগী সংগঠন শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। কোন প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ হবে, সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গত সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ১৪ দলের সভায় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একমত হয় ১৪ দলীয় জোট। তবে জামায়াতকে নিষিদ্ধের আলোচনা গত ১০ বছর ধরেই চলছে। এখন কোন প্রক্রিয়ায় কোন কারণে দলটিকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, সে বিষয়ে গতকাল আইনমন্ত্রী বলেন, গত ১৬ থেকে ২০ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে যে নৃশংসতা চালানো হয়েছে, সেখানে আন্দোলনকারীরা বলেছেন যে তারা সহিংসতার মধ্যে নেই। আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত আছে, এই জামায়াত-শিবির এবং বিএনপি-ছাত্রদলের যারা জঙ্গি, তারাই এই সহিংসতা করেছে। এই দলটাকে যদি নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে আইনশৃঙ্খলা ও দেশের পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

উচ্চ আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির রায়ও ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। তারা হলেন– সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান এবং নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাশেম আলী। রাজাকারের শিরোমণি বলে কুখ্যাত গোলাম আযমকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এ ছাড়া দলটির ঢাকা মহানগরীর সাবেক আমির এটিএম আজহারুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এসব রায়ের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আপিল এখন সর্বোচ্চ আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

এদিকে জামায়াতের পক্ষ থেকে নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছিল। তবে আপিল বিভাগ গত বছরের ১৯ নভেম্বর তা খারিজ করে দেন। ফলে দলটির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত সর্বোচ্চ আদালতে বহাল রয়েছে। দেশের গণপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন না থাকলে কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এমন নজির আছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে জার্মানিতে হিটলারের নাৎসি বাহিনীও রাজনীতি করতে পারেনি। যুদ্ধাপরাধের দায়ে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার করার জন্য একটি আইনের খসড়া কয়েক বছর আগে প্রস্তুত করলেও তা আলোর মুখ দেখেনি।

১১ বছর আগে নিবন্ধন হারায় দলটি

২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে নির্বাচন কমিশন থেকে সাময়িক নিবন্ধন দেওয়া হয়। রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা নিয়ে ২০০৯ সালে রিট করেন তরীকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি। রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। ফলে ধর্মভিত্তিক এই দলটির জাতীয় নির্বাচন করার পথ বন্ধ হয়ে যায়। ওই রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হলে একই বছরের ৫ আগস্ট আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত তা খারিজ করে দেন। এর পর ওই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে দলটির পক্ষ থেকে লিভ টু আপিল দাখিল করা হয়। ওই আপিলও গত বছরের ১৯ নভেম্বর খারিজ করেন আপিল বিভাগ। ফলে দল হিসেবে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেনি জামায়াত।

একাত্তরের অপরাধের হয়নি বিচার

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যে রাজনৈতিক দল আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, ৫৩ বছরেও সেই জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ বা অপরাধী সংগঠন হিসেবে তাদের বিচার শুরু করা যায়নি। এ লক্ষ্যে ১০ বছর আগে আইন সংশোধন করে দলটির বিচারের মুখোমুখি করার উদ্যোগ নিলেও তা এখন অনেকটা হিমঘরে।

বিশিষ্টজনরা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ হয়েছে। দল হিসেবে জামায়াতের বিচার করা প্রয়োজন। বিদেশি চাপ ও সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার কারণেই বিচার শুরু হচ্ছে না। বিচারের জন্য অধীর অপেক্ষাও করছেন মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা। তারা বলেন, জামায়াতের অতীত ও বর্তমান তৎপরতা সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদে বর্ণিত শর্তের পরিপন্থি হওয়ায় রাজনৈতিক দল হিসেবে এ দলটি নিষিদ্ধ করা যেতে পারে। জামায়াতের বিচার না হলে ৩০ লাখ শহীদদের পরিবার ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবে।

স্বাধীনতার ৫৩ বছরে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলেও বাংলাদেশের বিরোধিতাকারী গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামী এবং দলটির সহযোগী সংগঠন কুখ্যাত ‘আলবদর’ ও ‘আলশামস’-এর মতো সংগঠনগুলোর বিচার এখনও শুরু হয়নি। আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের একটি সংশোধনী না হওয়ায় আটকে আছে বিচার শুরুর প্রক্রিয়া।

এমন পরিস্থিতিতে দলের নাম পরিবর্তন করে রাজনৈতিক দল হিসেবে নতুন করে নিবন্ধনের জন্য ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে জামায়াত। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি) নামে নতুন নিবন্ধন চাওয়া হয়েছিল। সে নিবন্ধনও মেলেনি।

জামায়াতের বিচার নিয়ে সর্বমহলে সোচ্চার থাকলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। স্বাধীনতার পর একাধিক রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকলেও ভোটের হিসাবে তাদের বিচার আটকে যায়। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের ২৫ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করছিলেন। কিন্তু বিজয়ী হতে পারেননি।

সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ সমকালকে বলেন, অবশ্যই জামায়াতের বিচার হওয়া উচিত। কারণ মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের ভূমিকার কথা আমাদের অজানা নয়। ভোটের কোনো হিসাব নয়, সাহস করে বিচারের মুখোমুখি করতে এগিয়ে যেতে হবে। এখানে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া জামায়াতের বিচার করা সম্ভব নয়।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাবেক সভাপতি, লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেন, জামায়াতের নাম পরিবর্তন নতুন ঘটনা নয়। এর আগে তারা দলের নাম, গঠনতন্ত্র ও দলের লোগো পরিবর্তন করেছে। যখন বিপদে পড়ে, তখন এরা বিষাক্ত সাপের মতো খোলস পাল্টায়। জামায়াত যতই ধর্মনিরপেক্ষ নাম গ্রহণ করুক না কেন, তারা মওদুদীবাদের প্রতি সব সময় অটল থেকেছে। আবার যখন বিপদ কেটে যায়, তখন তারা স্বরূপে আত্মপ্রকাশ করে। তাদের বিচার হোক বা না হোক, একাত্তরে নির্বিচারে গণহত্যার দায় তাদের বহন করতে হবে।

তিনি বলেন, শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ হয়েছে। দেশ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে হলে শুধু নিষিদ্ধ নয়, যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবেও জামায়াতের বিচার করতে হবে।
বিচারে বিদেশি কোনো চাপ আছে কিনা– জানতে চাইলে শাহরিয়ার কবির বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার চাপ এসেছে। এ বিচারের উদ্যোগ নিলে সেটি আবার আসবে। একাত্তরে আমেরিকা পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। চীনও ছিল। এখন জামায়াতের বিচার করতে গেলে তো আমেরিকা ও পাকিস্তানের প্রসঙ্গ আসবে।

বিভিন্ন মহল থেকে দল হিসেবে জামায়াতের বিচারের দাবি জোরালো হয়ে উঠলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা তদন্ত শুরু করে। ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ জামায়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় দাখিল করা হয়। কিন্তু সেটা আদালতে উপস্থাপন করা হয়নি। ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে ফরমাল চার্জ গঠন প্রক্রিয়া থেমে যায়। এর পর আর বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আইন সংশোধনীর অজুহাতে কেটে গেছে আটটি বছর।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক এম সানাউল হক বলেন, ক্রিমিনাল সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি গুরুত্বপূর্ণ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই বিচার শুরু করা উচিত।

আগেও একাধিকবার নিষিদ্ধ হয়েছে জামায়াত

পাকিস্তানে দু’বার এবং ভারতে চারবার সাময়িক নিষিদ্ধ হয়েছিল জামায়াত। বাংলাদেশে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত নিষিদ্ধ ছিল জামায়াত। ১৯৮৬ সালে প্রথম দেশে নির্বাচনে অংশ নেয় জামায়াত। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বহু প্রতীক্ষিত বিচার শুরু হয়। এর পর থেকে ‘যুদ্ধাপরাধী দল’ হিসেবে জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিও জোরালো হয়ে ওঠে। একে একে যুদ্ধাপরাধ মামলার ৬৬টি রায় হয়েছে। কিন্তু অপরাধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচার করা হয়নি। (সমকাল)